ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

প্রবাসে বাংলাদেশ

মালয়েশিয়া বিএনপির স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত

কায়সার হামিদ হানান, মালয়েশিয়া থেকে | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১২
মালয়েশিয়া বিএনপির স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে গত ১ এপ্রিল মালয়েশিয়া বিএনপি কুয়ালালামপুরের জালান ইপু মতিয়ারা
কমপ্লেক্সে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় বিএনপি অনুমোদিত মালয়েশিয়া বিএনপির নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়।

   

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু বলেন, স্বাধীনতা একদিনে আসেনি। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে দীর্ঘ ৯ মাস কঠিন সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। নিজের জীবনবাজি রেখে চট্টগ্রামের কালুরঘাট স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে ‘আমি মেজর জিয়া বলছি’ বলে জিয়াউর রহমানের সেই স্বাধীনতার ঘোষণায় পুরো জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তার সেই কন্ঠের প্রতিধ্বনি জাতির কানে আজও ভাসে।

দুদু আরো বলেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জনপ্রিয়তায় প্রতি ঈষান্বিত হয়ে ফখরুদ্দিন ও মঈন উদ্দিন সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার তার স্বাধীনতার ঘোষণাকে অস্বীকার করছে। তিনি দাবি করেন, আজও বীর মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী অকাতরে বলে যাচ্ছেন, জিয়াই স্বাধীনতার ঘোষক। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর রফিকও তার বইয়ে লিখেছেন, জিয়া যদি সেই মুহূর্তে স্বধীনতার ডাক না দিতেন, তাহলে বাঙালি জাতি অন্ধকারের দিকে ধাবিত হতো। অথচ বর্তমান সরকার এই মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়ার নাম সকল স্থাপনা এবং ইতিহাস থেকে মুছে ফেলছে। কিন্তু বাংলার জনগণের হৃদয় থেকে তার নাম মুছে ফেলতে পারবে না।

বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-দুঃশাসনের অভিযোগ তুলে ধরে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা কাজের চেয়ে বেশি কথা বলেন। সরকারের সময় ঘনিয়ে এসেছে। পালানোর রাস্তা পাবেন না তারা।

তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘পালানোর রাস্তা খোঁজার আগেই জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করুন। বিএনপিকে নিয়ে আর মিথ্যাচার করবেন না। আগামী নির্বাচনে জনগণ আপনাদের মিথ্যাচারের জবাব দেবে। ’

তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় এ অনুষ্ঠানে এতো লোকের সমাগম প্রমাণ করে, দেশের মতো প্রবাসীরাও ঐক্যবদ্ধ। তারাও আর এই তাঁবেদার সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চান না। ’

মালয়েশিয়া বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল করিম সোহরাবের যৌথ পরিচালনায় উল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন মালয়েশিয়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা ডা. আহমেদ বোরহান। বক্তব্য রাখেন ফেনী জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ শহীদ, বি মিল্লাহ, তকদীর মো. জসিম উদ্দিন, মো. আনোয়ার হোসেন, নোয়াখালী বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আনোয়ার

শিকদার, মালয়েশিয়া বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. এনায়েত হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জুবায়েত হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন নসির, মালয়েশিয়া যুবদলের সভাপতি কাজী সোহেল মাহমুদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়া বিএনপির সহ সভাপতি আহসান উল্লাহ হাসান, প্রচার সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন রানা, কুয়ালালামপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি মো. কাজী সালাউদ্দিন, মো. মাসুদ রানা, মালয়েশিয়া যুবদলের সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও মহানগর সভাপতি আবদুল আজিজ, যুবদলের মহানগর সাধারণ সম্পাদক এস কে ফয়েজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. টিটুসহ মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রদেশের নেতাকর্মীরা।

সবশেষে জিসাস মালয়েশিয়া শাখা শামীম আহমেদ ও শেফালী আক্তার শিলার নেতৃত্বে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১২

সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।