ব্রিটেনে বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা
সৈয়দ আনাস পাশা
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন ব্রিটেনে বসবাসরত এমন ৮ ব্যক্তিকে সম্মাননা জানিয়েছে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠি ও সত্যেন সেন স্কুল অব পারফর্মিং আর্টস।
বাংলাদেশের বিজয়ের ৩৯তম বার্ষিকী উপলে গত ৩০ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার পূর্ব লন্ডনের একটি কমিউনিটি হলে বর্তমানে যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাসরত এই মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানানো হয়।
সম্মাননা গ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমিনুল হক বাদশা, আহবাব চৌধুরী, আবু মুসা হাসান, লোকমান হোসেইন, নাজিম চৌধুরী, আমান উদ্দিন, আবুল কাশেম খান ও ওয়ালিউর রহমান।
মুক্তিযোদ্ধাদের প থেকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক, লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনের সাবেক প্রেস মিনিস্টার আবু মুসা হাসান ও বঙ্গবন্ধুর এক সময়ের প্রেস সেক্রেটারি মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক আমিনুল হক বাদশা। মুক্তিযোদ্ধা আবু মুসা হাসান অনুষ্ঠানে উপস্থিত নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের স্মৃতিচারণ করেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞ সাং®কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে রণাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দীপনাদানকারী স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গানসহ অন্যান্য দেশাত্ববোধক গান পরিবেশন করা হয়। উদীচী কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ, সৈয়দ এনামুল ইসলাম এবং সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মীসহ বহু দর্শক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আসছে মিজানুর খানের প্রথম উপন্যাস
বছর দশেক আগে জার্মান রেডিও ডয়েচে ভেলেতে কাজ করার সময় মিজানুর খান একবার কোলনে (জার্মানির শহর) যান, আর সেখানেই এই উপন্যাস-কাহিনীর ভ্রুণ সৃষ্টি হয়। সেখানে কয়েকটা অধ্যায় লেখার পর আর লিখতে পারেননি। পাঁচ বছর জার্মানিতে থাকার পর ঢাকায় ফিরে আবার লিখতে শুরু করেন। তবু শেষ হয় না। পরে বিবিসিতে কাজ করতে লন্ডনে যান। সেখানেই শেষ হয়।
উপন্যাসের নাম ‘সোনার পরমতলা’। বাংলাদেশের একটি গ্রাম পরমতলা। এতে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের ওই গ্রামটি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা, পাখির মতো মানুষ হত্যা, ধর্ষণ ইত্যাদি একটি সার্বজনীন ক্যানভাসে আলোচনা করার চেষ্টা করা হয়েছে। এতে আছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রসঙ্গও। উপন্যাসের পটভূমি বাংলাদেশ হলেও ঘটনাপ্রবাহ গড়িয়েছে জার্মানি পর্যন্ত। মানবাধিকারের সত্যিই কোনো দেশ-কাল নেই, তা সার্বজনীন।
আগামী বইমেলায় বইটি বাজারে আনছে ঐতিহ্য। এখন প্রকাশনার কাজ চলছে।
মিজানুর খানের ভাষায়, ‘আমার কাছে পরমতলা হলো বাংলাদেশের মতো। এখানেই আমার জন্ম। একাত্তর সালে এই গ্রামে যা কিছু হয়েছে সারা দেশেও সেটাই হয়েছে। এই গ্রাম সোনার বাংলার এক প্রতীকী রূপ। আর একারণেই উপন্যাসটির নাম রেখেছি সোনার পরমতলা। ’
‘সোনার পরমতলা’ মিজানুর খানের প্রথম সৃজনশীল সাহিত্যকর্ম। জন্ম ১৯৭২ সালে বর্তমানে তিনি সপরিবারে লন্ডনে বসবাস করছেন। অনুলিখন রানা রায়হান।
ঘুরে আসুন লন্ডন আই
রানা রায়হান
একশো পঁয়ত্রিশ মিটার উঁচু পৃথিবীর সর্ববৃহৎ অবর্জাভেশন হুইল। ২০০০ সালে স্থাপিত। প্রতি বছর গড়ে সাড়ে মিলিয়নের বেশি দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। রোদেলা দিন, ধীরলয়ে ঘূর্ণায়মান লন্ডন আই-এর সর্বোচ্চ স্থানটিতে অবস্থানকালে পঁচিশ মাইল দূরবর্তী স্থান পর্যন্ত দেখা যায়। এমনকি, ব্রিটেনের রানীর গ্রামের বাড়ি উইন্ডসর ক্যাসেলও দেখা যায় লন্ডন আই থেকে। প্রতিবার ঘূর্ণন-কালে একসঙ্গে আটশ ব্যক্তি লন্ডন আইতে উঠতে পারেন। লন্ডন আইয়ের ওজন একুশ হাজার টন।
সময়সূচি
সামার (জুন-সেপ্টেম্বর), সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা; উইন্টার (অক্টোবর-মে), সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা। সারা বছর খোলা।
টিকেট
প্রাপ্তবয়স্ক ১৫ পাউন্ড, ৫-১৫ বছর সাড়ে ৭ পাউন্ড, ৬০ বছর ১১ পাউন্ড, অনুর্ধ্ব ৫ বছর ফ্রি। অনলাইনে ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়। টেলিফোনে বুকিং (৯ টা-৫টা), ০৮৭০ ৫০০০ ৬০০। অথবা গেট থেকে টিকেট কেনা যায়।
অবস্থান
British Airways London Eye, Riverside Building, County Hall, Westminster Bridge Road, London SE1 7PB
যাতায়াত
আন্ডারগ্রাউন্ড: ওয়াটার লু, ওয়েস্টমিনস্টার (এক্সিট ১); বাস - ৭৭, ২১১, ৩৮১ ও আরভি১।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৩ জানুয়ারি ০৫, ২০১১
বিশেষ ঘোষণা
আগ্রহী প্রবাসী বাংলাদেশিরা বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম-এর প্রবাসের চিঠি বিভাগে লিখতে পারবেন। আপনাদের স্বপ্ন, অনুভূতি, গল্প-কবিতা, ঘটনা, অনুষ্ঠানসহ নানা বিষয় এতে স্থানে পাবে। লেখা পাঠাবার ঠিকানা: [email protected] অথবা [email protected]