ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

প্রবাসে বাংলাদেশ

নেপালে বিজয় দিবস ও বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১২
নেপালে বিজয় দিবস ও বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন

কাঠমুন্ডু: নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাস বিজয় দিবস এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন উপলক্ষে কাঠমুন্ডুর এভারেস্ট হোটেলে গত ১০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের রুহের মাগফেরাত ও শান্তি কামনাসহ দেশের উত্তরোত্তর মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা এবং শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।



অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের সাব-সেক্টর কমান্ডার শওকত আলী এমপি প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে নেপালের সেচমন্ত্রী মহেন্দ্র প্রসাদ যাদব, নেপাল সংসদের সাবেক স্পিকার দামান নাথ ডুঙ্গানা, নেপালি কংগ্রেস দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সংসদ সদস্য নারায়ণ খাদকা, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব সালাউদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের মহাসচিব মনোয়ারুল হক খান লাবলু এবং মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের চেয়ারম্যান আবির আহাদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

বক্তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক কর্মময় জীবনী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ওপর আলোচনা করেন।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে ভারতের পাশাপাশি নেপালের জনগণের সমর্থন ও নেপালি কংগ্রেস নেতা কর্তৃক বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার ঘটনাও ব্যক্ত করেন।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, এটা সমগ্র বিশ্বের স্বাধীনতাকামী মানুষের সংগ্রামের নিদর্শন স্বরুপ। বঙ্গবন্ধু হত্যা সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানের সমাপণী বক্তব্যে নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে  নেপালের জনগণের সমর্থন ও বিভিন্ন উপায়ে সাহায্য-সহযোগিতা, বিশেষ করে নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বি পি কৈরালা এবং জি পি কৈরালার অবদানের কথা তুলে ধরেন। বিশ্ববাসীর অবদানও তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, নেপাল ১৯৭২ সালের ১৬ জানুয়ারি বিশ্বের ৮টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশকে স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসাবে স্বীকৃতি দেয় এবং ১৯৭১ সালের ৩ অক্টোবর নেপালে বাংলাদেশের দূতাবাস খোলা হয়। দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বক্তারা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভিশন-২০২১ অর্জিত হবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী ছাড়াও নেপাল সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, কুটনৈতিক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ প্রায় ৩০০ জন উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা শেষে নেপাল এবং বাংলাদেশী শিল্পীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য, গান এবং কবিতা পরিবেশন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।