ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

প্রবাসে বাংলাদেশ

টোকিওতে বিজয় দিবস উদযাপিত

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২০
টোকিওতে বিজয় দিবস উদযাপিত টোকিওতে বিজয় দিবস উদযাপিত

ঢাকা: টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ মর্যাদায় বিজয় দিবস উদযাপন করেছে।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সকালে বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) দূতাবাস প্রাঙ্গণে দিনের কার্যক্রম শুরু হয় জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে।

পতাকা উত্তোলন করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ। পরে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

টোকিও দূতাবাস জানায়, বিদ্যমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ এবং জাপান সরকারের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূতাবাস এবছর অনলাইনে বিজয় দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। অনলাইনের এ অনুষ্ঠানে জাপানি ও জাপান প্রবাসী বাংলাদেশিসহ শতাধিক অতিথি অংশ নেন। এসময় মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়। এছাড়া, বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত তার পরিবারের সদস্যদের, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং নির্যাতিত বীর মা-বোনদের।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস পরিশ্রম ও গতিশীল নেতৃত্বের ফলশ্রুতিতে বর্তমান বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত এবং আমাদের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি আজ সমগ্র বিশ্বে স্বীকৃত। করোনা ভাইরাস মহামারি মোকাবিলার ক্ষেত্রে অনেক ‍উন্নত ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশ যখন ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধির মুখে পড়েছে, শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে বাংলাদেশে আশাব্যঞ্জক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ’

তিনি উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা রক্ষায় সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখা এবং বাংলাদেশের মর্যাদা অটুট রাখার আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে জাপান প্রবাসীসহ সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান তিনি।

আলোচনায় অংশ নিয়ে টোকিও সেক্রেড হার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং জাপান বাংলাদেশ সোসাইটির ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাসাকি ওহাসি দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক ও বাংলাদেশের উন্নয়ন তুলে ধরে বলেন, ‘ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ হবে আরও উন্নত ও আধুনিক। নতুন প্রজন্মের কাছে বাঙালি জাতির গর্বের সোনালি ইতিহাস বারবার তুলে ধরতে হবে। ’

পরে উম্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন জাপান প্রবাসী বিভিন্ন সংগঠনের নেতা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। মহান মুক্তিযুদ্ধের পর তথ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২০
টিআর/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।