ফোর্বস ম্যাগাজিনের তালিকায় বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ কাতারে বসবাস করছেন প্রায় এক লাখ পঞ্চাশ হাজার বাংলাদেশি। রাজধানী দোহাসহ সারাদেশের সিংহভাগ মসজিদে ইমামতি, খুতবা ও আজান দেওয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশি আলেম।
তবে তার পরেও অন্যান্য দেশগুলোর মতো কাতারেও বাংলাদেশি শ্রমিক ও জনসাধারণ সম্পর্কে সরকারি রয়েছে মহলে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। এর কিছু ভিত্তিহীন আবার কিছু অভিযোগ একেবারে মিথ্যা নয়। বিশেষত অজ্ঞানতাপ্রসূত আইনভঙ্গ এবং আরবীতে অদক্ষ হওয়ায় বাংলাদেশিরা এখনও এদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবহেলার শিকার হন, বঞ্চিত হন ন্যায্য সম্মান ও আর্থিক অধিকার থেকে।
গত শুক্রবার কাতার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অধিদপ্তর ফানার এর উদ্যোগে বাংলাদেশি সংস্থা আল নূর এর আয়োজনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সীরাতুন্নবী আলোচনায় কাতারস্থ বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত শাহাদাত হোসেন উপরোল্লিখিত বিষয়গুলোর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘আলেম সমাজ আন্তরিক হলে এ বিপুল বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর সামাজিক ও ধর্মীয় উন্নয়নে অবদান রাখতে পারেন। ’
রাসূল সা. ও স্বাধীনতা শীর্ষক এ আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার এ মাসে আমাদেরকে মনে রাখতে হবে, স্বাধীনতা মানে আইন অমান্য করার অধিকার নয়। আইন মানার পরও যদি স্বাধীনতা না থাকে- সেখানেই পরাধীনতার প্রশ্ন। বিদেশের আইনকানুন আমাদের নিরাপত্তা ও সম্মানের জন্য। এদেশের সমাজ থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি। ’
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘বিশৃঙ্খলাহীন এ সমাজের একমাত্র কারণ আইনের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা। শুধু বিদেশে নয়, দেশেও যেন আমরা এ গুণটি চর্চা করতে পারি সেজন্য আমাদের সচেতনতা ও সদিচ্ছা প্রয়োজন। ’
আলোচনা সভায় কাতারের বিভিন্ন শহর থেকে আগত বাংলাদেশি চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী এবং আলেমসমাজ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূতের হাতে আল নূর প্রোগ্রামের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী তুলে দেন এম এ বাকের।
বাংলাদেশ থেকে আগত মাওলানা ইসমাইল শুভেচ্ছা বক্তব্য পেশ করেন। ফানার এর দাঈ বাংলাদেশি আলেম মাওলানা ইউসুফ নূর এতে সামাজিক প্রেক্ষাপটে নবীজীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, ১৭ মার্চ, ২০১২
সম্পাদনা: আহ্সান কবীর, আউটপুট এডিটর