বাংলাদেশের গ্রাম বাংলার সংস্কৃতির অংশ পিঠা উৎসব। নতুন প্রজন্মের মাঝে দেশীয় সংস্কৃতি তুলে ধরার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো পিঠামেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
‘দেশি পিঠার বড়ই স্বাদ, খাইলে মেটে মনের সাধ’ স্লোগানে কানেকটিকাট সঙ্গীত একাডেমির উদ্যোগে গত ২৪ মার্চ শনিবার ম্যানচেস্টারের সেন্ট মেরি চার্চের হলরুমে দেশীয় আমেজে পিঠামেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শাব্বির আহমদ চৌধুরী।
মেলায় বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রকমারী পিঠা, দেশি খাবার, কাপড় ও জুয়েলারির দোকানে হরেকরকম পণ্যের বেচাকেনা হয়। এছাড়াও বাংলাদেশ কনস্যুলেট অব নিউইয়র্কের তত্ত্বাবধানে মোবাইল কনসুলার সার্ভিসের মাধ্যমে কানেকটিকাটে বসবাসরত বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট নবায়ন, নো ভিসা ও পাওয়ার অব অ্যাটর্নিসহ যাবতীয় কনস্যুলেট সেবা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ কনস্যুলেট অব নিউইয়র্কের কনসাল জেনারেল শাব্বির আহমদ চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, ‘সঙ্গীত একাডেমির আয়োজনে পিঠামেলায় আমন্ত্রণ পেয়ে আমি অত্যন্ত খুশি। প্রবাসে এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তবুও যারা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন, বিশেষ করে সঙ্গীত একাডেমির পরিচালক কৌশলী ইমা এবং সাংবাদিক সাবেদ সাথীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি তাদের এই মহতী উদ্যোগের জন্য। ’
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কনস্যুলেট অব নিউইয়র্কের তত্ত্বাবধানে মোবাইল কনসুলার সার্ভিসের মাধ্যমে কানেকটিকাটে বসবাসরত ৬৫ জন বাংলাদেশি কনসুলেট সেবা নেন। এর মধ্যে ১৭ জনের পাসপোর্ট নবায়ন, ৪৩ জনের নো ভিসা রিকোয়ার্ড, দুইজনের দ্বৈত নাগরিকত্ব ও তিনজনের পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সংক্রান্ত কনস্যুলেটের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করা হয়।
পিঠামেলা চলাকালে বাংলাদেশি নারীরা পিঠার স্টল পরিচালনা করেন। সেরা পিঠার জন্য প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নিউইয়র্কের আদি পিঠাঘরের ফারাহ তাজ সাথী ও রোকশানাকে পুরস্কৃত করা হয়। পিঠা প্রতিযোগিতার জন্য বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন স্থানীয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কবির আখন্দ, মীর আজম ও হালিম আকবর।
পিঠামেলার পাশাপাশি চলে আলোচনা, কবিতা আবৃত্তি ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন ফারহানা রশিদ লুনা, সঙ্গীত একাডেমীর উৎসব, বর্ষা ও সুখ। কানেকটিকাট সঙ্গীত একাডেমির পরিচালক ও কণ্ঠশিল্পী কৌশলী ইমার পরিচালনায় মনোজ্ঞ এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে একাডেমীর ছাত্রছাত্রীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
অরোরা, সুখ, পুজা, বর্ষা, শ্রেষ্ঠ, উৎসব, তাসমিহা, মাহী, ইশা ও জেসমিন প্রমুখ শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এছাড়া স্থানীয় জনপ্রিয় শিল্পী জুবায়ের নাজমী, ফরিদা খান, কৌশলী ইমা এবং উত্তর আমেরিকার জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী তাজুল ইমাম গান গেয়ে দর্শকদের বিমোহিত করেন।
সাবেদ সাথী : যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক। যুক্তরাষ্ট্রস্থ বার্তা সংস্থা বাংলা প্রেসের সম্পাদক।
বাংলাদেশ সময় : ১১০২ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১২
সম্পাদনা: রানা রায়হান, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর