এ কর্মসূচি ছাড়াও শুদ্ধভাবে আরবি সাহিত্যের প্রশিক্ষণ ও দাওয়াতি কার্যক্রমও চলবে সমান তালে।
ইবাদতের জন্য এ মসজিদে কল্যাণকামীরা জেগে থাকবেন রাতভর।
বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে এমন কথা জানান মসজিদটির মোয়াজ্জিন মাওলানা আবদুস সামাদ (৫০)।
এ মসজিদের রোজাদারদের ইফতার করানোর ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিও মনোমুগ্ধকর। নগরীর বিভিন্ন পাড়া মহল্লার বাসা-বাড়ি থেকে আসে ইফতার। এ ছাড়া মসজিদ কমিটিরও বিশেষ বরাদ্দ রয়েছে ইফতারের জন্য।
মসজিদের সামনে প্রতিষ্ঠিত বড় হুজুর ফয়জুর রহমানের নামে প্রতিষ্ঠিত মাদরাসার প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী, স্থানীয় গরিব ও সাধারণ মুসল্লি মিলিয়ে প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ একসঙ্গে ইফতারি করেন।
ময়মনসিংহ বড় মসজিদের মোয়াজ্জিন মাওলানা আবদুস সামাদ (৫০) জানান, পবিত্র মাহে রমজানের ঠিক ৫ দিন আগে থেকে এ মসজিদে বয়স্কদের জন্য কোরআন শিক্ষার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এ কর্মসূচি চলবে ২০ রমজান পর্যন্ত। এর সঙ্গে মাদরাসার শিক্ষকদের বিশেষ প্রশিক্ষণও চলবে।
কীভাবে শুদ্ধভাবে আরবিতে কথা বলতে হয় তার প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে এখানকার মাদরাসার শিক্ষার্থীদের।
অষ্টম শ্রেণি থেকে মাষ্টার্স পড়ুয়া এসব শিক্ষার্থীদের আরবি সাহিত্যের ‘নাহু সরফ’র ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে জানান মুয়াজ্জিন আবদুস সামাদ।
ঐতিহ্যবাহী বড় মসজিদ সংলগ্ন দু’টি বহুতল ভবনে রয়েছে অবস্থিত হাফেজিয়া ও কওমি মাদরাসা। এখানে বিদগ্ধ আলেমদের তত্ত্বাবধানে ‘দাওরা হাদিস’ পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। এখানে আছে সমৃদ্ধ ধর্মীয় পাঠাগারও।
মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমানের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীদের এসব প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে। এর মাধ্যমে দেশে তো বটেই পড়াশুনার জন্য সৌদি আরবে গিয়েও উপকৃত হবেন শিক্ষার্থীরা।
ময়মনসিংহ বড় মসজিদের এসব কর্মসূচির পাশাপাশি থাকছে নিয়মিত কর্মসূচি দাওয়াতি কার্যক্রম।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৭
এমএএএম/এমএইউ/