ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

অপার মহিমার রমজান

২২ বছর ধরে কাতারে ইমামতি করছেন হাফেজ আবু বকর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৩ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০১৭
২২ বছর ধরে কাতারে ইমামতি করছেন হাফেজ আবু বকর হাফেজ আবু বকর

বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশর নাম নানা কারণে উজ্জ্বল ও গৌরবান্বিত। তন্মধ্যে প্রবাসী ইমামদের অবদান অনন্য।

সুমিষ্ট সুর আর মধুর কোরআন তেলাওয়াতে বিশ্ব মাতাচ্ছেন তারা। মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপের নানা দেশে বছরের পর বছর ধরে ওয়াক্তিয়া ও তারাবির নামাজ পড়িয়ে অর্জন করছেন সুনাম-সুখ্যাতি।

হাফেজ আবু বকর তাদেরই একজন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে দীর্ঘ ২২ বছর ধরে খেদমত করছেন তিনি।

যশোর জেলার বাহাদুরপুর তার গ্রামের বাড়ি। পিতা হাফেজ আবুল হাশেম। বয়স ৩৮। আজ থেকে প্রায় ২২ বছর আগে ইমাম ভিসায় কাতার পাড়ি জমান তিনি। প্রথমে কাতারের মুহাম্মদ আন নাঈমি মসজিদে ১০ বছর মুয়াজ্জিন-ইমামের দায়িত্ব পালন করেন।

পরে মসজিদে উম্মে খাইরিতে চার বছর এবং মসজিদে শেখ সাকিল আশ শাম্মারিতে ২ বছর খেদমত করে বর্তমানে নাসের খলিফা আস সুলাইতি মসজিদে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।

চলতি রমজানে ওয়াক্তিয়া নামাজের পাশাপাশি তারাবির নামাজও পড়াচ্ছেন তিনি।

মঙ্গলবার (০৬ জুন) রাতে মোবাইলে কথা হয় এই ইমামের সঙ্গে। আলাপচারিতায় তিনি জানান, পড়াশোনার মাঝখানে অল্প বয়সেই আমি কাতার চলে আসি। একটা ভালোলাগা থেকে এসেছিলাম। সেই ভালোলাগাটা এখনও আছে। তবে দেশে খেদমত করতে পারলে আরও ভালো লাগত। দেশে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে থেকে দ্বীনের অনেক কাজ করা যায়। এখানেও করা যায়, তবে বাংলাদেশর মতো না। মানুষের জিজ্ঞাসা কিংবা ইসলাম সম্পর্কে জানার চাহিদা খবু একটা নেই এখানে। তাই মসজিদের নির্ধারিত দায়িত্বের বাইরে তেমন কিছু করা হয় না।

হাফেজ আবু বকর পড়াশোনা শুরু করেন ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় তার বাবার প্রতিষ্ঠিত হিফজুল কোরআন মাদরাসায়। পরে যশোরের আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দরাটানায় পড়াশোনা করেন। মাধ্যমিক শেষ করেন খুলনা দারুল উলুম থেকে। ঢাকার তাঁতিবাজার শাখারি মসজিদ মাদরাসায় উচ্চ মাধ্যমিক পড়ে পাড়ি জমান কাতারে।

আর কতদিন কাতারে থাকতে চান, সেটি নির্দিষ্ট করে বলতে পারেন না তিনি। তবে, কাতার সরকারের নিয়মানুসারে ৬০ বছরের পর দায়িত্ব থেকে অবসর নিতে হয়।

সম্প্রতি কাতারের ওপর সৌদিসহ বেশকিছু রাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ফলে তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হইনি। তাছাড়া কাতারের সাধারণ পর্যায়ে এর তেমন প্রভাব এখনও পড়েনি।

এ ব্যাপারে কোনো ধরনের আলোচনা না করতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয় থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ, বছর দুয়েক আগে ঢাকায় বিয়ে করেছেন তিনি ফাতেমা আক্তারকে। স্ত্রীও আলেম, মোহাম্মদপুরের এক মাদরাসার শিক্ষিকা ছিলেন। বিয়ের পর স্ত্রীকে কাতার নিয়ে গেছেন।

মাস তিনেক আগে তার ঘর আলোকিত করে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নিয়েছে। নিজের সন্তান এবং উস্তাদ হাফেজ আনসার উদ্দীনের জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী তিনি।

ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]

বাংলাদেশ সময়ঃ ১৬২৫ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৭
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।