ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপার মহিমার রমজান

রমজান নারীদের জন্য শুধু রান্নার মাস নয়

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২২
রমজান নারীদের জন্য শুধু রান্নার মাস নয়

সাধারণত সংসারের রান্নার দায়িত্ব নিজেই পালন করতে ভালোবাসেন বেশির ভাগ নারী। আর সারা বছর ধরে এক ধরনের নিয়মে থাকা জীবনের অনেকটা পাল্টে যায় রমজান মাসে।

ইফতার, রাতের খাবার তৈরি, সেহরির আয়োজন—সব কিছু মিলিয়ে রমজান মাসে পরিবারের নারীদের ওপর কাজের চাপ বেড়ে যায় অনেকখানি।

তবে শুধু ইফতার বা সেহরির আয়োজন নয়, ক্ষেত্রবিশেষে বাজার করা, মেন্যু ঠিক করা, পরিবারের সবার পছন্দ-অপছন্দের খেয়াল রাখা, খাবারের পুষ্টিমান ধরে রাখা, বয়স্ক ও শিশুদের জন্য আলাদা কিছু তৈরি করা—সবই দেখতে হয় নারীদের। আর গৃহিণী, পুত্রবধূ, মা-মেয়ে কিংবা কর্মজীবী নারী—কেউ রেহাই পান না এই দায়িত্ব থেকে।

ফলে সবকিছু সামলে সময়মতো তারাবির নামাজ পড়া, কোরআন পাঠ বা ধর্মীয় রীতি পালন করা কঠিন হয়ে ওঠে নারীদের জন্য। তাই পরিবারের পুরুষ সদস্যদের সাহায্য হয়ে উঠতে পারে অন্যতম ভরসা।

খেয়াল রাখতে হবে, রমজান ইবাদত-বন্দেগির মাস। নারীদের জন্য রান্নার মাস নয়। কিন্তু রমজান ও ঈদ উপলক্ষে ঘরে অতিথিদের যাতায়াত বেড়ে যায়। তাই পরিবারের পুরুষ সদস্যদের এগিয়ে আসতে হবে যেন রান্নাঘরে একা নারীর সময় বেশি না কাটে।

রমজান মাসে ইফতারে বাহারি আয়োজনের যে প্রচলন রয়েছে, তা পালন করতেই হবে এমনটা নয়। ঘরের নারীদের যাতে কষ্ট কম হয়—এমন দু’একটা আইটেম, খেজুর, পানি ও শরবতই যথেষ্ট ইফতারের জন্য। এর বেশি আয়োজন করে ঘরের মানুষকে কষ্ট দেওয়ার কোনো অর্থ নেই। কাজেই রান্নার কাজে, টেবিল সাজিয়ে ইফতারি পরিবেশনে, বাজার করা আর খাবারের মেন্যু ঠিক করার কাজে ঘরের নারীদের সাহায্য করুন। মাঝে মাঝে সম্ভব হলে সবাইকে নিয়ে বাইরে ইফতার করুন। এতে একদিন ছুটিও মিলবে।

ইসলামিক স্কলার ড. মুফতি ইসমাইল মেনক বলেন, নারীদের কোরআন পড়ার ও আল্লাহর নৈকট্য পাওয়ার প্রযোজন রয়েছে। আর তাদের ওপর রান্নার কাজ চাপিয়ে না দিলেই সেটা সম্ভব। আমরা প্রতি ঈদে আশা করি, ঘরের পুত্রবধূ ৫০ জনের জন্য খাবার রান্না করবেন। তাহলে তিনি ঈদ করবেন কখন? এক্ষেত্রে কিছু খাবার বাইরে থেকে কিনে আনা যায়, যাতে তিনি সুন্দর একটি ঈদ পালন করতে পারেন।

শুধু ইফতার-সেহরির আয়োজন নয়। রমজান মাসে ঘরের নারীদের সন্তানদের সামাল দিতে হয়। করতে হয় সংসারের নানা কাজ। এসব কাজ করতে গিয়ে তারা ইবাদতের জন্য সময় খুব কমই পান। আবার সময় পেলেও ক্লান্তি তাকে ঘিরে ধরে। পরিবারের পুরুষ সদস্যদের এসব বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। তাদের চেষ্টা ও সাহায্যই পারে নারীদের ইবাদতের সুযোগ করে দিতে।

ঘরে মা, বোন, স্ত্রী, কন্যার কাজে সাহায্য করলে পরিবারে পুরুষের গুরুত্ব ও সম্মান আরো বাড়ে। আর সবার সঙ্গে সম্পর্কও হয় আরো সুন্দর। ইসলামের মূল শিক্ষাও কিন্তু এটাই।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২২ 
এনএসআর/এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।