ঢাকা: সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের(সিডিবিএল)কারিগরি ক্রুটির কারণে দিনের লেনদেন(সেটেলমেন্ট) নিষ্পত্তি করতে পারছে না ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সব ব্রোকারেজ হাউজ। তারা দিনের লেনদেন শেষ করলেও হিসাব মেলাতে পারছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি ব্রোকারেজ হাউজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, এটা সিডিবিএল‘র গাফিলতি। আমরা ৩০-৪০ হাজার টাকার কম্পিউটার ব্যবহার করি তাতে কোনো সমস্যা হয়না। আর সিডিবিএল এতো দামি কম্পিউটার পাশাপাশি অত্যাধুনিক সফটওয়্যার নিয়ে আসছে তাতে কেন এ সমস্যা। আর ভোগান্তিতে পড়তে হবে আমাদের। এর আগেও সিডিবিএল সংক্রান্ত অনেক সমস্যা হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক শাকিল রিজভী বাংলানিউজকে বলেন, সমস্যা একটা হয়েছে। প্রথমে জানানো হয়েছিল মাগরিবের নামাজের পরপরই ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু তা তো হয়নি। এখন হয়তো ব্রোকারেজ হাউজ কর্মকর্তাদের রাত ৯টা পর্যন্ত থাকতে হতে পারে। এর আগেও এ ধরনের সমস্যা হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে সিডিবিএল’র এনালিস্ট(সিস্টেম অপারেশন্স)রাকিবুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আসলে ডাটা সরাতে গিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। এটা ঠিক হয়ে যাবে। তবে নির্দিষ্ট সময় বলেন নি তিনি।
সিডিবিএল’র নতুন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়া শেখ কবির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এটি টেকনিক্যাল সমস্যা বলে জানতে পেরেছি। একটি টিম সমস্যা সমাধানে কাজ করছে। আশা করি আগামীকাল থেকে কোনো সমস্যা হবে না।
প্রতিদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শেষ হওয়ার পর ব্রোকারেজ হাউসগুলো সিডিবিএলের ক্লিয়ারিং অ্যাকাউন্টে শেয়ারগুলো ট্রান্সফার করে। সেখান থেকে বিক্রেতার অ্যাকাউন্ট থেকে ক্রেতার অ্যাকাউন্টে শেয়ার আবার পাঠানো হয়।
এর আগে সিডিবিএলের সফটওয়্যার বিপর্যয়ের কারণে লেনদেন নিষ্পত্তিতে বিপত্তি ঘটায় ২০১২ সালের ৩১ জুলাই উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন বন্ধ ছিল।
২০১২ সালে সফটওয়্যারজনিত ত্রুটির কারণে লেনদেন বন্ধ থাকার পরিপ্রেক্ষিতে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তদন্ত কমিটি গঠন করে। পরে দুর্বল মনিটরিং ব্যবস্থার জন্য শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিএসইসি সিডিবিএলকে সতর্ক করে।
এছাড়া ভবিষ্যতে সিডিবিএলে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য সিডিবিএলের পরিচালনা পর্ষদকেও নির্দেশনা দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৫