ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৫
জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি

ঢাকা: ২০১৫ সালের ১৫ আগস্ট, সকাল ৯টা। ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হলো জাতীয় প্রেসক্লাব।

স্বাধীনতা পরবর্তী গত ৪৪ বছরে প্রথমবারের মতো জাতীয় প্রেসক্লাবে স্থাপিত হয়েছে জাতির পিতার প্রতিকৃতি।

বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহাদত বার্ষিকী এ প্রতিকৃতি স্থাপনের মধ্য দিয়ে স্বরণীয় হয়ে থাকলো।
 
‘বঙ্গবন্ধুর রক্ত বৃথা যেতে দেবো না’ এমন স্লোগানে শনিবার (১৫ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের মূল প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত জাতীয় প্রেসক্লাবের লবির দেওয়ালে উন্মোচিত হয় পাথরের ওপর খোদাই করা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি।
এমন ঐতিহাসিক মুহূর্ত সৃষ্টির আবেগে আপ্লুত ছিলেন উপস্থিত সাংবাদিকদের অনেকেই।
 
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ও সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী অনুষ্ঠানে বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের জন্য এ জায়গাটি বঙ্গবন্ধুই দান করেছিলেন। কিন্তু এতোদিন আমরা তার মর্যাদা দিতে পারিনি। এটি ছিল আমাদের জন্য লজ্জার।
 
তিনি বলেন, এ প্রতিকৃতি স্থাপনের মাধ্যমে ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছে জাতীয় প্রেসক্লাবে। প্রেসক্লাবের জন্য আজ এক স্মরণীয় দিন।
 
প্রেসক্লাবে স্বাধীনতাবিরোধী চক্রকে প্রতিহত করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি অপশক্তি দীর্ঘদিন ধরে এখানে ঘাঁপটি মেরে বসেছিল। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তি বরাবরই প্রেসক্লাবে তাদের আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মধ্য দিয়ে এদের প্রতিহত করা হবে।
 
প্রতিকৃতি উন্মোচনকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, আজ এক ঐতিহাসিক দিন। বঙ্গবন্ধুর শাহাদতের ৪০ বছর পর জাতীয় প্রেসক্লাবে তার প্রতিকৃতি স্থাপিত হলো। এটি আমাদের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা ছিল। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এখানেও তৎপর থাকায় এতোদিন তা পারা যায়নি।
 
তিনি বলেন, শনিবার সকালে প্রেসক্লাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। কালো পতাকা উড়েছে প্রেসক্লাবের সামনে। এতোদিন এগুলো বিচ্ছিন্নভাবে প্রেসক্লাবের বিভিন্ন অংশে আমরা করে এলেও আজ প্রেসক্লাব কমিটির পক্ষ থেকেই তা হয়েছে।
 
সাংবাদিক নেতা ও এটিএন বাংলার এডিটর ইন চিফ মনজুরুল আহসান বুলবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সাংবাদিক নেতা কুদ্দুস আফ্রাদসহ বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা।
 
প্রতিকৃতি উন্মোচনের আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি বাংলানিউজকে বলেন, গত চল্লিশ বছরে প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। গত ২৮ মে দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় আমরা নির্বাচিত হওয়ার পর সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেই, জাতীয় প্রেসক্লাবে স্থায়ীভাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি স্থাপন করা হবে।
 
প্রতিকৃতি উন্মোচনের পর জাতীয় প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

 

বাংলাদেশ সময়: ‌১১০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৫
এডিএ/এসএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।