প্যারিস অলিম্পিকে শুটিং থেকে আরেকটি পদক পেল ভারত। এবার ছেলেদের ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশন ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছেন স্বপ্নিল কুশাল।
ছোটবেলা থেকেই শুটিংয়ের প্রতি ঝোঁক কুশালের। ১৪ বছর বয়সে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকারের স্পোর্টস স্কিমের জন্য নির্বাচিত হন তিনি। এরপর জুনিয়র ক্যাটাগরির এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপসহ বিশ্বকাপ, এশিয়ান গেমসে সোনার পদক গলায় ঝুলান ২৮ বছর বয়সী এই শুটার। মাঝখানে পুনেতে ভারতীয় রেলওয়ের হয়ে টিকিট কালেক্টর হিসেবে চাকরি করেন তিনি। সেই চাকরির বেতন জমিয়ে কেনেন নিজের প্রথম রাইফেল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুরেশ কুশাল বলেন, '১০ বছর বয়স থেকেই স্বপ্নিল সরকারি আবাসিক স্কুলে থেকেছে এবং এরপর পুনেতে ট্রেনিংয়ের পাশপাশি ভারতীয় রেলওয়েতে টিটিই হিসেবে কাজ করেছে। সে খুব কমই গ্রামে আসত, কিন্তু যখনই আসত আমাদের সবার জন্য কিছু না কিছু নিয়ে আসত। এবার অলিম্পিক পদক নিয়ে তাকে বাড়ি ফিরতে দেখাটা আমাদের সবার জন্যই বিশেষ এক মুহূর্ত হবে। এবার তাকে বেশি সময় গ্রামে রাখার চেষ্টা করব। গ্রামের বাচ্চাদের থেকে শুরু করে বড়দেরও তার অলিম্পিক পদক দেখা উচিত। '
'মহারাষ্ট্র সরকারের বরাদ্দের আগে স্বপ্নিল ও বাকি শুটাররা প্রাথমিকভাবে সাধারণ রাইফেল দিয়েই শুট করত। নিজের প্রথম রাইফেল ২০১৫ সালে ভারতীয় রেলওয়েতে যোগ দেওয়ার পর প্রথম ছয় মাসের বেতন জমিয়ে রাখে সে, যার মূল্য ছিল ৩ লাখ রুপিরও বেশি। '
সুরেশ আরও বলেন, 'পরে ২০১৭ সালে যখন কমনওয়েলথ গেমসে ব্রোঞ্জ জিতল আমি জিজ্ঞেস গগন নারাঙের ব্যবহার করা বন্ধুকের দাম কত। সে জানাল ৯ লাখ। আমার কিছু সেভিংস ও তার বেতনের অর্থ মিলিয়ে আমরা তাকে একটা নতুন রাইফেল কিনে দিই যেটার দাম ৮ লাখ রুপিরও বেশি। সেও বুঝতে পেরেছিল যে, রাইফেলের দাম অনেক বেশি হতে পারে, কিন্তু ভালো শুট করাটা তার ওপর নির্ভর করে। '
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০২৪
এএইচএস