বিগত শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ২৯ আগস্ট দেশের ক্রীড়াঙ্গনে বিদ্যমান ফেডারেশন, অ্যাসোসিয়েশন, বোর্ড ও সংস্থাগুলোর কার্যক্রম নিয়ে সংস্কার প্রস্তাব দিতে একটি সার্চ কমিটি গঠন করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের দায়িত্বে থাকা এই সার্চ কমিটির সদস্য কাজী মহিউদ্দিন আহমেদ বুলবুলকে শোকজ করা হয়েছে।
কমিটির অন্য চার সদস্য হলেন, সাবেক হকি খেলোয়াড় মেজর (অব.) ইমরোজ আহমেদ, সদ্য সাবেক ক্রীড়া সাংবাদিক ও প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আজাদ মজুমদার, ক্রীড়া সংগঠক মহিউদ্দিন আহমেদ বুলবুল ( বিএনপিপন্থি ক্রীড়া সংগঠকদের সংগঠন ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদের মহাসচিব) ও সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক মন্টু কায়ছার ( এমএম কায়সার)।
সার্চ কমিটির সদস্য হয়েও তিনি বাফুফের আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষ্যে একটি সভায় উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে ৩ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলেছে মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব এস এম হুমায়ুন কবিরের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আপনার (মহিউদ্দিন আহমেদ বুলবুল) এরূপ আচরণ অনভিপ্রেত ও অপ্রত্যাশিত এবং আপনার এরূপ আচরণে সার্চ কমিটি তথা সরকারের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে তুলেছে। আপনার এহেন আচরণে সরকার বিব্রত। ’
এই কারণ দর্শানোর নোটিশের বিষয়ে বুলবুল বলেন, ‘ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট যে অনুষ্ঠান হয়েছে সেখানে আমার অনেক বন্ধু সংগঠক এসেছিলেন। তারা আমাকে আমন্ত্রন জানিয়েছেন। আমি তাদের আমন্ত্রণে গিয়েছিলাম। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে। আমি তো সেখানে কোনও ভূমিকা পালন করিনি। এছাড়া আমাদের সার্চ কমিটির নীতিমালায় এমন কিছু বলা হয়নি যে কোনও মিটিংয়ে যেতে পারবো না। এরপরও আমি কোনও মিটিংয়ে যাই না। বন্ধুদের আমন্ত্রণে গিয়েছিলাম। তবে কারণ দর্শানোর নোটিশ যেটা দেওয়া হয়েছে তার জবাব আমি দ্রুত সময়ের মধ্যেই দিব। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪
এআর/আরইউ