সাধারণত ফিজিক্যাল গেমগুলোতে ৩০-৩৫ বছরেই অবসরে চলে যান অ্যাথলেটরা। মাইন্ড গেমগুলোতে এর ব্যাতিক্রম।
হাঙ্গেরিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৪৫তম দাবা অলিম্পিয়াড। গতকাল সপ্তম রাউন্ডের খেলায় ডমিনিকান রিপাবলিকের দাবাড়ু ফানচেসকা রামিজেকে হারিয়েছে রানী হামিদ। এর আগে এই আসরে আরও একটি জয় পেয়েছিলেন তিনি। প্রথম দুই রাউন্ডের খেলায় রিজার্ভে থাকলেও তৃতীয় রাউন্ড থেকে নিয়মিতই নারী দলগত ইভেন্টে খেলছেন তিনি।
এবারের বুদাপেস্ট ৪৫তম বিশ্ব দাবা অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়ে রেকর্ড গড়েছেন রানী হামিদ। সর্বাধিক ২০টি অলিম্পিয়াডে খেলা একমাত্র দাবাড়ু তিনি। বিশ্বের শীর্ষ খেলোয়াড়দের সঙ্গে কঠিন লড়াই জমিয়ে যাচ্ছেন রানী হামিদ। প্রতিপক্ষের অনেকেই তার নাতি-নাতনির বয়েসি। চারিদিকে তারুন্যের জয়জয়কারের মাঝে রানী হামিদ এক অনন্য উদাহরন। দাবার বোর্ডে তার নৈপুণ্য, নিয়ন্ত্রণ এবং সাহসী পদক্ষেপগুলো প্রায়শই তরুণ খেলোয়াড়দেরও অবাক করে দেয়।
রানী হামিদ ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত টানা ছয় বছর বাংলাদেশে জাতীয় শিরোপা জিতেছিলেন। বিভিন্ন টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্যও নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ১৯৮৩ সালে যখন তিনি ব্রিটিশ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েছিলেন, তখন তিনি হেলেন মিলিগানের সাথে যুগ্ম বিজয়ী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। ১৯৮৪ সাল থেকে শুরু করে তিনি সমস্ত বিশ্ব দাবা অলিম্পিয়াডে খেলেছেন। ১৯৮৫ সালে ফিদে নারী আন্তর্জাতিক মাস্টার (ডব্লিউআইএম) উপাধিতে ভূষিত হন। ২০১৭ সালে তিনি দিল্লিতে কমনওয়েলথ দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। পরের বছর রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত দাবা বিশ্বকাপ ২০১৮-তে ‘সাংবাদিক চয়েস অ্যাওয়ার্ড’ জিতেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪
এআর/আরইউ