ঢাকা: বার্সেলোনার ১১৬ বছরের ক্লাব ইতিহাসে অন্যতম সফল খেলোয়াড় লিওনেল মেসি। মাত্র ১৩ বছর বয়সে বার্সার যুব একাডেমি লা মেসিয়াতে নাম লেখান সে সময়ের ‘বিস্ময় বালক’।
গত ২০ ডিসেম্বর ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ জেতার পর থেকেই বিশ্রামে বার্সার খেলোয়াড়রা। বিরতি শেষে আবারো লা লিগা মিশনে নামছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। তার ওপর মেসির মাইলফলকের ম্যাচ বলে কথা। সব মিলিয়ে রিয়াল বেটিস ম্যাচের জন্য শতভাগ প্রস্তুত বার্সা।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে বছরের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবেন মেসি-নেইমার-সুয়ারেজরা। ন্যু ক্যাম্পে বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত দেড়টায় ম্যাচটি শুরু হবে।
রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে মাঠে নামলেই জাভি হার্নান্দেস, কার্লোস, পুয়োল, মিগুয়েলি, ভিক্টর ভালদেস ও বর্তমান সতীর্থ আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার পাশে নাম লেখাবেন মেসি। পাঁচজনই বার্সার হয়ে আগেই পাঁচশ ম্যাচ খেলার কীর্তি গড়েছেন। সর্বোচ্চ ৭৬৭ ম্যাচ খেলা জাভির ধারেকাছেও কেউ নয়। আর পুয়োল, ইনিয়েস্তা (এখনো খেলছেন), মিগুয়েলি ও ভালদেসের ম্যাচ সংখ্যা যথাক্রমে ৫৯৩, ৫৬৭, ৫৪৯, ৫৩৫।
বার্সার হয়ে মেসির আরো কিছু পরিসংখ্যাণ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:
ম্যাচ সংখ্যায় অন্যদের চেয়ে পিঁছিয়ে থাকলেও সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে মেসি। বার্সার জার্সি গায়ে সব মিলিয়ে ৪৯৯ ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ৪২৪ বার বল পাঠিয়েছেন আর্জেন্টাইন আইকন। এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে প্রয়াত স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড সিজার রদ্রিগেজ (২৩৫)।
বার্সার হয়ে প্রতি ১০০ ম্যাচে মেসির গোলসংখ্যা যথাক্রমে ৪১, ৭৩, ৯৯, ১১৮ ও ৯৩ (৪০১-৪৯৯)। সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরো ১৫৯টি। এখন পর্যন্ত হ্যাটট্রিক করেছেন ৩২ বার। আর ন্যু ক্যাম্পে ২৩৮ ম্যাচে করেছেন ২৩৬টি গোল।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হয়েছেন ৩১ বার। এল ক্লাসিকোতে গ্যালাকটিকোদের বহুবার দুঃস্বপ্ন উপহার দেওয়ার পাশাপাশি গোল করেছেন ২১টি। অন্যদিকে, অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ ও সেভিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ২৪টি করে গোল করেন মেসি।
বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে বার্সার হয়ে সম্ভাব্য সব শিরোপাই জিতেছেন চারবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি। এর মধ্যে সাতটি লা লিগা, চারটি চ্যাম্পিয়নস লিগ, তিনটি করে কোপা দেল রে, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ও উয়েফা সুপার কাপ অন্যতম।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
আরএম