এমনই অনুভূত হয়েছিল তীর ধনুকের রাণী হিরা মনির। এখনও সেই স্মৃতি মনে ভুলতে পারেন না তিনি।
হিরা মনিকে তীর ধনুকের রানী বলা হয়। মাওলানা ভাসানী জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথম আইএসএসএফ ইন্টারন্যাশনাল সলিডারিটি আর্চারি চ্যাম্পিয়নশীপে আজারবাইজানকে হারিয়ে মহিলা এককে স্বর্ণপদক লাভ করেন।
যদিও সফল হওয়ার গল্পটা তার বেশ কঠিন ছিল। হিরা মনি শোনালেন সেই দু:খগাঁথা গল্পটি, ‘আমার পরিবার থেকে কখনও আমার খেলাধুলাকে পছন্দ করতো না। স্কুলে যখন বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিতাম সেটাও কেউ পছন্দ করতো না। আমার পরিবারে সন্ধ্যার আগেই বাসায় ফেরার আদেশ ছিল। আমি অনেকবারই এই আদেশ লঙ্ঘনের দায়ে মাইর খেয়েছি। ’
‘পরিবারে চার বোনের মধ্যে ছিলাম তৃতীয়। সবাই ভাবতো মেঝো বোনই হয়তো ভালো খেলোয়াড় হবে। কেননা তার পুরস্কারই ছিল সবচেয়ে বেশি। লেখাপড়ায় কম মনোযোগী ছিলাম। ’-যোগ করেন তিনি।
তবে তার এ জীবনযুদ্ধে সঙ্গে পেয়েছেন তার আপন খালাকে। তিনি বলেন, ‘খালার উৎসাহে বিকেএসপিতে প্রথম ভর্তি হই। তীর ধনুক দেখে মুগ্ধ হই। এক সময় খেলায়েও মনোযোগ হারিয়ে ফেলি। তারপর ফিরে আসি। প্রথম যেদিন আমার জন্য জাতীয় সঙ্গীত বাজে সে স্মৃতি ভুলতে পারি না। আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে মহিলা এককে স্বর্ণপদক লাভ করি। ’
সকল প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে হিরা মনি তার নিজের বেড়ে ওঠার গল্পটি শোনালেন বুধবার (৮ মার্চ) বার্গার কিং রেস্টুরেন্টে। নারী দিবস উপলক্ষ্যে একটি সংবাদ সম্মেলন করা হয় সেখানে। তাকে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, ৮ই মার্চ, ২০১৭
জেএইচ/এমএমএস