ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

৯টি স্কুল নিয়ে ট্যালেন্ট হান্ট দাবা প্রতিযোগিতা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৭
৯টি স্কুল নিয়ে ট্যালেন্ট হান্ট দাবা প্রতিযোগিতা ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সহযোগিতায় ও ওয়ালটন গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় শুরু হয়েছে ‘ওয়ালটন ট্যালেন্ট হান্ট স্কুল দাবা প্রতিযোগিতা’। রাজধানীর ৯টি স্কুলে এই ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ৯০ জন খুদে দাবাড়ু (ছেলে/মেয়ে) তুলে আনা হবে।

তাদের নিয়ে আয়োজন করা হবে প্রতিযোগিতা। সেখান থেকে ট্যালেন্টদের বাছাই করে দীর্ঘমেয়াদে প্রশিক্ষণ দিয়ে ভবিষ্যত তারকা দাবাড়ু হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

 

তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় ‘ট্যালেন্ট হান্ট স্কুল দাবা প্রতিযোগিতা। ’ স্কুলটির ২০০ জন ছাত্র/ছাত্রী এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। সেখান থেকে ১০ জনকে বাছাই করা হয়েছে। এভাবে আরো ৮টি স্কুলে ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতা চালিয়ে আরো ৮০ জন খুদে দাবাড়ুকে তুলে আনা হবে। তারপর তাদের নিয়ে আয়োজিত হবে প্রতিযোগিতা। সেখান থেকে সেরা খুদে দাবাড়ুদের বাছাই করে দেওয়া হবে দীর্ঘমেয়াদে প্রশিক্ষণ।

সকালে প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন গ্রুপের অপারেটিভ ডিরেক্টর (হেড অব স্পোর্টস এন্ড ওয়েলফেয়ার) এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন), সিনিয়র এজিএম মেহরাব হোসেন আসিফ, মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরজাহান হামিদাসহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চেস প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন) বলেন, ‘আমরা গেল কয়েক বছর ধরে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন স্কুলে ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছি। এবার একটু ভিন্নভাবে শুরু করেছি এই প্রতিযোগিতা। এবার আমরা রাজধানীর ৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ট্যালেন্ট হান্ট প্রোগ্রাম আয়োজন করব। প্রতিটি স্কুল থেকে ১০ জন করে দাবাড়ু বাছাই করব। মোট ৯০ জনকে নিয়ে আয়োজিত হবে ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতা। সেখান থেকে সেরা দাবাড়ুদের বাছাই করা হবে। আর বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন তাদের দীর্ঘমেয়াদে প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তুলবে। আর সেটা আজ শুরু হলো মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে। আসলে আমরা ওয়ালটন পরিবার ছাত্র-ছাত্রীদের দাবার প্রতি আকৃষ্ট করার পাশাপাশি তাদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে চাই। কারণ, দাবা একটি সৃজনশীল খেলা। যা ছাত্র-ছাত্রীদের মেধাকে আরো শানিত করে। বৃদ্ধি করে তাদের সৃজনশীলতা। বুদ্ধিদীপ্ত ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনের ব্রত নিয়ে ওয়ালটন গ্রুপ এই ধরনের কর্মশালার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, ১৮ মার্চ ২০১৭
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।