ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

বাংলাদেশের ক্রিকেট সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণ নেই ফাউন্টেইনের

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১০
বাংলাদেশের ক্রিকেট সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণ নেই ফাউন্টেইনের

ঢাকা: জুলিয়ান ফাউন্টেনের সঙ্গে প্রধান কোচ জেমি সিডন্সের দেখা হয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস কক্ষের সামনে। জেমিই এগিয়ে গেলেন বাংলাদেশে নবাগত কোচের সঙ্গে পরিচিত হতে।

জেমির কাঁধে ঝোলানো ব্যাগ, হাতের মগ থেকে গরম চায়ের ভাপ বেরোচ্ছিলো। সহকর্মীর সঙ্গেও ভাব বিনিময় হলো গরম চায়ের মতোই। আপাতদৃষ্টিতে দেখে মনে হচ্ছে ফিল্ডিং কোচ ফাউন্টেইনের সঙ্গে প্রধান কোচের বেশ জমবে। সুযোগটা কাজে লাগাতে পারলে বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল হুহু করে এগিয়ে যাবে সাফল্যের মঞ্চ সাজাতে।

প্রথম এসেছেন তাই আনুষ্ঠানিক একটা সংবাদ সম্মেলন করতে হলো। সেখানে নিজের আগ্রহ, অনুভূতি এবং পরিকল্পনার কথা জানালেন ফাউন্টেইন।

যদিও বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে পরিষ্কার ধারনা নেই নতুন কোচের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে এই ইংলিশম্যানের অনেকদিনের সম্পর্ক থাকলেও এদেশের কোন ক্রিকেটারকেই ব্যক্তিগতভাবে চেনে না।

সত্যি বলতেও দ্বিধা হয়নি। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কার্যালয়ের সংবাদ সম্মেলনে বলছিলেন,“সত্যি বলতে বাংলাদেশের ক্রিকেট সম্পর্কে আমার খুব বেশি ধারণা নেই। বৃটিশ টেলিভিশনে খেলা দেখে কিছুটা ধারণা পেয়েছি। দেখে মনে হয়েছে তারুণ্য নির্ভর দলটি বেশ উন্নতির পথে। এখন বাংলাদেশের ক্রিকেট ভালোভাবে জানার চেষ্টা করবো। ”

বেসবল খেললেও ক্রিকেটের সঙ্গে আছেন অনেকদিন হলো। নিজের পরিচয় দিলেন তিনটি বিষয়ের মিশেলে,“আমি একজন সাবেক ক্রিকেটার, বেসবল খেলোয়াড় এবং একজন কোচ। ”

বিসিবির সঙ্গে ইংলিশ এই বিশেষজ্ঞ কোচের চুক্তি হয়েছে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত। তবে আশা করছেন ভবিষ্যতেও হয়তো মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ পাবেন।

কোচিংয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন সাংবাদিকরা। বিচক্ষণ ফাউন্টেইন সরাসরি উত্তর না দিয়ে বুদ্ধি খাটালেন। তুলে ধরলেন কোচিং অভিজ্ঞতা,“ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান এবং ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের কাছ থেকে আমি কোচিং শিখেছি। ”

একজন কোচকে এরচেয়ে বেশি কিছু বলার প্রয়োজন পড়ে না। সদ্য আসায় বিস্তর পরিকল্পনার কথা জানাতে পারেননি। তার মতে,“এখনই পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত বলা মুশকিল। তবে আমি চেষ্টা করবো বিশ্বকাপের জন্য দলকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে। সেজন্য অনেক ভাবনাই আমার হাতে আছে। ”

ফাউন্টেইন কাজ করেন ফিল্ডিং নিয়ে। তাই বলে ব্যাটিং নিয়ে একেবারে কিছু জানেন না তেমনটা ভাবার কারণ নেই। পাকিস্তানের ফিল্ডিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় দেশটির সাবেক অধিনায়ক ইনজামাম উল হককে ব্যাটিং দেখিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে তা না বললেও তার কোচিং ক্যারিয়ারের বৃত্তান্তে লেখা আছে। তবে ফিল্ডিংয়েই তিনি বিশেষভাবে পারদির্শী।

একজন ভালো ফিল্ডারের গুণ সম্পর্কে তার কাছেই পরিষ্কার ধারণ পাওয়া গেলো। তার দৃষ্টিতে,“অ্যাজিলিটি, অ্যাথলেটিসিজম স্পিড, আক্রমণাত্মক ভাব এবং খেলায় মনোযোগ রাখা একজন ভালো ফিল্ডারের পূর্বশর্ত। ” এই কয়টি শব্দ দিয়েই বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য বার্তা দিলেন বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হয়ে যেতে।

সংবাদ সম্মেলন শেষে কোচ জেমি সিডন্স ফাউন্টেইনকে মাঠে নিয়ে যান। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি থাকায় সাজঘরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে হোম অব ক্রিকেটের সবুজ মাঠ দেখান। দুইদিন পড়েই যেখানে শুরু হয়ে যাবে ফাউন্টেইনের সংগ্রামী জীবন।

অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গেও ফিল্ডিং কোচকে পরিচয় করিয়ে দিলেন জেমি। এরপর ক্রিকেটারদের লকার রুম এবং জিমনেসিয়াম ঘুড়ে দলের কয়েকজন ক্রিকেটারের সঙ্গে প্রাথমিক পরিচয় শেষে একান্তে আলোচনার জন্য চলে যান সিডন্সের সঙ্গে। কারণ প্রধান কোচ জেমি সিডন্সই জীবন বৃত্তান্ত দেখেই তাকে জাতীয় দলের ফিল্ডিং কোচ হিসেবে পছন্দ করেছেন।  

বিসিবির সঙ্গে ফাউন্টেইনের আনুষ্ঠানিক চুক্তিও হয়ে গেছে বৃহস্পতিবার।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘন্টা, আগস্ট ১৯, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।