এবারের প্রতিযোগিতায় ৩টি গ্রুপে মোট ৩২টি বাইচ দল অংশ নেবে। বড় গ্রুপে প্রথম পুরস্কার এক লাখ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৬০ হাজার ও তৃতীয় পুরস্কার ৩০ হাজার টাকা।
ছোট গ্রুপে প্রথম পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৩০ হাজার ও তৃতীয় পুরস্কার ২০ হাজার টাকা। বিশেষ গ্রুপে প্রথম পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৩০ হাজার ও তৃতীয় পুরস্কার ২০ হাজার টাকা।
খুলনা নগর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গ্রামীণফোনের পৃষ্ঠপোষকতা ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে নৌকা বাইচ আয়োজনের প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আমিন উল হাসান।
সভায় জানানো হয়, অন্যান্য বারের মতো এবারও নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে নগরীর এক নম্বর কাস্টম ঘাট থেকে রূপসা সেতু পর্যন্ত। ওইদিন দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। তবে এবারের আয়োজন এক যুগ পূর্তিতে হওয়ায় অনুষ্ঠানে নানা বৈচিত্র আনা হয়েছে। ওইদিন সবাইর অংশ গ্রহণে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হবে।
র্যালির উদ্বোধন করবেন সিটি মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন বিসিবি পরিচালক শেখ সোহেল। নগরীর শীববাড়ি থেকে র্যালিটি শুরু হয়ে শেষ হবে শহীদ হাদিস পার্কে এসে। পরবর্তীতে দুপুর ২টায় ১ নম্বর কাস্টম ঘাটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে ৫টায় শেষ হবে।
প্রধান অতিথি হিসেবে নৌকাবাইচের উদ্বোধন করবেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান। পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে রূপসার ফেরিঘাটে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয়ও জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীরা অংশ নেবেন।
সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, নৌকাবাইচ শুরু হওয়ার আগে দুই প্রান্তে কার্গো, বার্জসহ অন্যান্য জলযান চলাচল বন্ধ থাকবে। অনুষ্ঠান চলাকালীন ব্রিজের ওপরে শুধুমাত্র নারী ও শিশু দর্শনার্থীরা দাঁড়িয়ে নৌকাবাইচ উপভোগ করতে পারবেন। কোনো পুরুষ দর্শনার্থী ব্রিজের ওপরে উঠতে পারবেন না। সেতুর পশ্চিম প্রান্তে কোনো গাড়ি পার্কিং করা যাবে না।
এ সময় ওই এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যাব ও কোস্টগার্ডের সদস্য মোতায়েন করা হবে। যেকোনো ধরণের দুর্ঘটনা এড়াতে নদীর দুই পাড়ের পল্টুনে কোনো দর্শক না ওঠে সেদিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কার্যকর ব্যবস্থা নিবে।
এছাড়া নৌকাবাইচ চলাকালে রূপসা ব্রিজে যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে গল্লামারী-বটিয়াঘাটা রোড থেকে রূপসা সেতু পর্যন্ত এবং রূপসা ফেরিঘাট থেকে রূপসা সেতু পর্যন্ত পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়ন ও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
সভায় খুলনা জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশিদ, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বদি উজ্জামান, র্যাব-৬ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল কুদ্দুস ফারাজী, খুলনা নৌ-অঞ্চলের (ভারপ্রাপ্ত) পুলিশ সুপার দীন মোহাম্মদ, বটিয়াঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান খান আশরাফুল আলম খান, কেএমপির প্রতিনিধি এস এম শাহাজান, খুলনা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আলী আকবর টিপু, খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ মোশাররফ হোসেন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উপদেষ্টা ও খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শেখ আশরাফ উজ জামান, নগর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রর সভাপতি মোল্লা মারুফ রশীদ, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান রহিমসহ গ্রামীণফোন, নৌ-বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, সিভিল সার্জন, বন বিভাগের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৭
এমআরএম/জিপি