আনহেল দি মারিয়ার অসাধারণ পারফরম্যান্সে চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম সেমিফাইনালে লিপজিগকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। এদিন দুর্দান্ত খেলা আর্জেন্টাইন দি মারিয়া একটি গোল করার পাশাপাশি অন্য দুটি গোলে সহায়তাও করেন।
মঙ্গলবার নিরপেক্ষ ভেন্যু পর্তুগালের লিসবনে স্তাদিও দো স্পোর্ত লিসবোয়া ই বেনফিকাতে মুখোমুখি হয় দু’দল। তবে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা পিএসজি ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো। তবে কিলিয়ান এমবাপ্পের কাছ থেকে বল পেয়ে গোল নেইমারের শট পোষ্টের বাধায় আটকে যায়। এক মিনিট পরেই এমবাপ্পে গোল করলেও তার শটের আগেই নেইমারের হাতে বল লাগলে রেফারি হ্যান্ডবল দেন।
তবে লিড পেতে বেশি সময় নেয়নি ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। ১৩তম মিনিটে দি মারিয়ার ক্রস থেকে অসাধারণ হেডে গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান মার্কিনিয়োস।
২৬তম মিনিটে অবশ্য সমতায় ফিরতে পারতো জার্মান ক্লাব লিপজিগ। কিন্তু সংঘবদ্ধ আক্রমণ থেকে ইউসুফ পোলসেনের শটে জালের বাইরে চলে যায়। ৮ মিনিট পরেই অবশ্য ফের মিসের খাতায় নাম লেখান নেইমার।
ম্যাচের ৪২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে পিএসজি। লিপজিগ গোলরক্ষক পিটার গালাসির ভুল পাসে পিএসজির এক ফুটবলার শট নিলে বল পেয়ে যান নেইমার। সেখান থেকে এই ব্রাজিলিয়ান তার হালকা ছোঁয়া দিলে বল পান দি মারিয়া। পরে বাঁ পায়ের জোড়ালো শটে গোল আদায় করে নেন এই মিডফিল্ডার।
বিরতি ঠিক আগে আবারও বঞ্চিত হন এই ম্যাচে দারুণ খেলা নেইমার। এমবাপ্পের কাছ থেকে বল পেয়ে শট নিলেও পোষ্ট ঘেঁষে বল বেরিয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আক্রমণের ধার বাড়িয়ে পিএসজিকে কিছুটা চাপে রেখেছিল লিপজিগ। তবে প্রতিপক্ষের রক্ষণের কারণে গোল আদায় করে নিতে পারেনি। উল্টো ৫৬তম মিনিটে আরও একটি গোল হজম করে বসে তারা। দি মারিয়ার ক্রস থেকে হেডে গোল করেন স্প্যানিশ তারকা বের্নাত।
খেলার ৭০ ও ৭২ মিনিটের দুবার গোল বঞ্চিত হন এমবাপ্পে। প্রথমবার গোলবারের খুব কাছে থেকেও হেড করতে পারেননি। আর দ্বিতীয়বার কাছ থেকে শট নিলেও গোলরক্ষক রুখে দেয়। শেষদিকে অবশ্য লিপজিগও ভালো কয়েকটি সুযোগ পায়। তবে সেখান থেকে গোল আদায় করে নিতে পারেনি দলটি।
বুধবার (১৯ আগস্ট) রাতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে অলিম্পিক লিওঁ’র মোকাবিলা করবে বায়ার্ন মিউনিখ। যারা জিতবে তারাই আগামী রোববার পিএসজির সঙ্গে ফাইনাল খেলবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২০
এমএমএস