ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

খেলা

সোনালী দিনের আশায় শাহরিয়ার নাফিস

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১০
সোনালী দিনের আশায় শাহরিয়ার নাফিস

ঢাকা: ক্রিকেটের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন সম্পর্ক থাকলেও শাহরিয়ার নাফিস কতটা বিজ্ঞ হয়ে উঠেছেন বলা মুশকিল। তবে এটুকু বলা যায়, মেজাজ মর্জিতে তিনি এখন অনেকটাই পরিণত।

ব্যাটিংয়ে সেই প্রভাব পড়লে বাংলাদেশের ক্রিকেট উপকৃত হবে বৈকি।

দেশের মানুষের কাছে শাহরিয়ার এখন অনেকটাই অচেনা। দুই বছর হলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেই। অর্থাৎ সেই ২০০৮ সালের জুনে পাকিস্তান এশিয়া কাপের পর জাতীয় দলের বাইরে। ভারতের বিদ্রোহী লিগ আইসিএলে যোগ দেওয়ায় এই পরিণতি।

সেই দিনগুলো এখন অতীত। নতুন রূপে ফেরার ইচ্ছে নাফিসের। বুধবার অনুশীলনের ফাঁকে সাংবাদিকদের নিজের ভবিষ্যত নিয়ে বলেছেন,“জাতীয় দলে খেলছি। একটা ভালো শুরুর চেষ্টা করবো। তামিম যেহেতু নেই আমাদের সবার দায়িত্ব থাকবে ভালো খেলা। ”

তামিম নেই বলেই নাফিস এবার জাতীয় দলের ওপেনার। অতীতের জায়গা ফিরে পেয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। আশার কথাই শোনালেন নাফিস,“আমি নিজের খেলাটা খেলতে চাই। যদি টিমের জন্য ভালো কেউ চলে আসে সেক্ষেত্রে সবাইকেই জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। দলের যে কোন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে রাজি। তবে আমি চেষ্টা করবো আমার জায়গা তৈরি করতে। ”

২০০৫-২০০৬ মৌসুমে দারুণ এক ব্যাটসম্যান ছিলেন শাহরিয়ার নাফিস। সে সময় তাকে নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠেনি। বরং বিসিবির বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মান পেয়েছিলেন। সোনালী দিনগুলো ফের হাতছানি দিচ্ছে জাতীয় দলের ব্যাটসম্যানকে। বলছিলেন,“এখানে পাঁচটা ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবো। আমার চেষ্টা থাকবে ২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত যে ক্রিকেট খেলেছি সেটাকে ফিরিয়ে আনতে। যাতে দলে আমার জায়গা পোক্ত হয়। ”

প্রধান কোচ জেমি সিডন্সের সঙ্গে বেশ কিছুদিন হলো ব্যাটিং নিয়ে কাজ করছেন শাহরিয়ার নাফিস। একে অন্যকে ভালো করেই চেনেন। অভিজ্ঞ আশরাফুলের চেয়েও নাফিসকে গুরুত্ব বেড়ে গেছে কোচের কাছে। বলছিলেন,“আশরাফুল দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। কিন্তু এই সময়ে তার ফর্ম এবং মানসিক অবস্থা বিবেচনায় সুবিধাজনক অবস্থায় নেই। প্রথম দিকে সুযোগ নেই। নাঈম এবং রিয়াদের জায়গায় সুযোগ ছিলো। ”

জাতীয় দলের সব পরিকল্পনাই এখন বিশ্বকাপ ঘিরে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একদিনের সিরিজের জন্য নির্বাচিত দল নিয়ে খুশি জেমি সিডন্স। তার মতে,“বেশিরভাগ ক্রিকেটারই অনেক দিন ধরে খেলছে। প্রত্যেকের পারফরমেন্স ভালো। শাহরিয়ার নাফিস নতুন এসেছে। রকিবুল ইংল্যান্ডে একটি ম্যাচ খেলে রান পেয়েছে। খুবই ভালো একটি দল হয়েছে। ”

সিডন্সের কোচিং প্যানেলে ছোট্ট একটি ঘাটতি ছিলো। সেটাও পূরণ হচ্ছে । বৃহস্পতিবার সকালেই নতুন বোলিং কোচ ইয়ান পন্ট কাজ শুরু করে দেবেন। প্রধান কোচের সঙ্গে পন্টের আগে দেখা হয়নি। তবুও স্বস্তির বিষয় বোলিং কোচ পাচ্ছেন তিনি।

খবরের কাগজে পড়ে এবং বায়োডাটা দেখে বোলিং কোচ সম্পর্কে জেনেছেন প্রধান কোচ। জুলিয়ান ফাউন্টেনও কিছুটা সাহায্য করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১০



 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।