ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

খেলা

বোলিংয়ে নতুন কিছু দিতে চান পন্ট

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১০
বোলিংয়ে নতুন কিছু দিতে চান পন্ট

ঢাকা: আন্তর্জাতিক খ্যাতি নেই, তবু তিনি অনেক বড় মাপের কোচ। পেস বোলারদের হাতেধরে শেখান।

মাশরাফিদেরকেও শেখাবেন। অভিজ্ঞতার পুরোটা নিংড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন জাতীয় দলের বোলিং কোচ ইয়ান পন্ট। বাংলাদেশে সুখকর অভিজ্ঞতা হবে বলেই আশা করছেন।     

প্রশ্ন: এখানে কেমন লাগছে?

ইয়ান পন্ট: হল্যান্ড জাতীয় দলের সঙ্গে তিন বছর কাজ করেছি। দেশটি আইসিসির সহযোগী সদস্য। ক্রিকেটে তাদের বাজেট খুবই কম। এখন আমি এক্সাইটেড। একটি টেস্ট দলের সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়েছি।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সম্পর্কে ধারণা আছে?

ইয়ান পন্ট: বাংলাদেশের খেলা আমি টিভিতে দেখেছি। বিশেষ করে ইংল্যান্ডের ঢাকা সিরিজ এবং লন্ডনে বাংলাদেশের সিরিজ। এই দুটি সিরিজ দেখে আমার মনে হয়েছে এখানে অনেক মেধাবী ক্রিকেটার আছে।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কি?

ইয়ান পন্ট: আমার আগে যা হয়েছে তা নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। তবে দেখে মনে হয়েছে এদেশের ক্রিকেটাররা নিজেদের পারফরমেন্স নিয়ে খুবই এক্সাইটেড। ওরা পারফম করতে চায়। ভালো নেতৃত্ব দরকার ছিলো। জেমি সিডন্সকে পেয়ে সেই ঘাটতি পূরণ হয়েছে। এছাড়া দলের অধিনায়ক একজন শীর্ষ বোলার। এটা খুবই ইতিবাচক।

প্রশ্ন: বিশ্বকাপের জন্য যথেষ্ট সময় পাচ্ছেন?

ইয়ান পন্ট: নিউজিল্যান্ডের আগে দুই সপ্তাহ যথেষ্ট নয়। তবে নিউজিল্যান্ডের পর জিম্বাবুয়ে এরপর বিশ্বকাপ এভাবে দেখলে যথেষ্ট সময়।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের কোচদের চেনেন?

ইয়ান পন্ট: ফাউন্টেন আমার অনেক দিনের বন্ধু। জেমি একটা গাছের মতো। তাকে একেবারেই চিনি না। অবশ্য কিছুদিন আগে অ্যান্ডি ফাওয়ার জানিয়েছে জেমি অনেক বড় মাপের কোচ।


প্রশ্ন: অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের মধ্যে অ্যাশেজ নিয়ে উত্তেজনা থাকে। জেমির সঙ্গে তোমার সম্পর্ক কেমন হবে?

ইয়ান পন্ট: অস্ট্রেলিয়ানদের আমরা মাঠের ভেতরে পছন্দ করি না। কিন্তু মাঠের বাইরে ওরাই খুবই ভালো মানুষ। অসিদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কও ভলো। আশা করি জেমির সঙ্গে কোন সমস্যা হবে না।

প্রশ্ন: উপমহাদেশের কন্ডিশনে পেসবোলাররা খুব একটা সুবিধা পায় না। তুকি কি একমত?

ইয়ান পন্ট: আমি তা মনে করি না। শ্রীলঙ্কায় পেস বোলাররা খুবই ভালো করছে। ওখানে সিমিং কন্ডিশনও আছে। ভারতেও পেস উইকেট আছে। এখানেও অসুবিধা হবে না।

প্রশ্ন: কাজের শুরুটা কেমন হবে?

ইয়ান পন্ট: আমার সঙ্গে এখানে হয়তো ভাষাগত সমস্যা হতে পারে। চেষ্টা করবো দ্রুত সমস্যাটা কাটিয়ে উঠতে। আমার কোচিংয়ের অন্যতম বৈশিষ্ট হাতে ধরে বোলিং শেখানো। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদেরও সেভাবেই শেখাবো।

প্রশ্ন: প্রশিক্ষণে আপনি প্রযুক্তি ব্যবহার করবেন?

ইয়ান পন্ট: খুবই ভালো প্রশ্ন। আমার কাজই হচ্ছে টেকনিক নিয়ে। গতি এবং জায়গা মতো বলিং শেখানো। টেকনোলজির কথা ভাবলে ভিডিও দেখিয়ে কৌশল শেখাবো। এতে ভাষাগত সমস্যাও থাকবে না।

প্রশ্ন: আপনার কোচিং ক্যারিয়ারে খুব বড় সাফল্য নেই। এ অবস্থায় টেস্ট দলে কোচ হয়েছেন?

ইয়ান পন্ট: ডেল স্টেইন আমার ছাত্র। তাকে আমি বোলিং শিখিয়েছি। সে এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার। ছয় সপ্তাহ তাকে শেখানোর সময় পেয়েছিলাম। এর চেয়ে বড় সাফল্য কি হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১০


বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।