ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

হারানো ঐতিহ্য ফেরাতে মধুখালীতে হা-ডু-ডু 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২২
হারানো ঐতিহ্য ফেরাতে মধুখালীতে হা-ডু-ডু 

ফরিদপুর: গ্রাম-বাংলার শত বছরের হারানো ঐতিহ্য ফেরাতে ও নতুন প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে তাদের মাদক-সন্ত্রাস থেকে দূরে রাখতে ফরিদপুরের মধুখালীতে হা-ডু-ডু খেলার আয়োজন করা হয়েছে।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে আটটি দলের অংশগ্রহণে হা-ডু-ডু টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ড খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

 

মধুখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. কামরুজ্জামান বাবুর উদ্যোগে হা-ডু-ডু খেলার আয়োজন করা হয়েছে।  

মধুখালী উপজেলার সদরের পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মহিশাপুরের কাঁঠালবাড়ী মাঠে শুরু হয় খেলার বায়োপ্রতিযোগিতা। খেলা দেখতে ছিল সব বয়সী মানুষের ঢল।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মধুখালী পৌরসভার মেয়র খন্দকার মোরশেদ রহমান লিমন।  

খেলাটি উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মো. মুরাদুজ্জামান মুরাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রাজা, পৌরসভার প্যানেল মেয়র আনিছুর রহমান লিটন প্রমুখ।

এ বিষয়ে মধুখালী পৌর মেয়র খন্দকার মোরশেদ রহমান লিমন বলেন, আমাদের দেশের জাতীয় খেলা হা-ডু-ডু। তবে এ জাতীয় খেলাটি আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। তাই এ ঐতিহ্য ফিরে পেতে, যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে এ খেলার আয়োজন করা হয়।

এ ব্যাপারে মধুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুরাদুজ্জামান মুরাদ বলেন, যে কোনো মূল্যে দেশের জাতীয় খেলা হা-ডু-ডুকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। যুব সমাজকে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ থেকে মুক্ত রাখতে ক্রীড়া চর্চায় মনোযোগী ও আগ্রহী করে তোলার পাশাপাশি গ্রামের মানুষের পারস্পরিক সৌহার্দ্য বাড়াতে প্রতি বছরই এ খেলার আয়োজন করা উচিত।

খেলায় একই উপজেলার চরবামুন্দী ও জলকরজগন্নাথদি দুইটি দল অংশ নেয়। খেলাটি শেষ হবার আগেই দু’পক্ষের মধ্যে সামান্য বাক-বিতণ্ডা হয়। পরে ফলাফল ঘোষণা না করে পরে খেলাটি অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে শেষ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।