ছোটবেলায় মেয়েটার শখ ছিলো শিক্ষক হওয়ার। তখন গানটাকে বুঝতে পারতেন না তিনি।
মিতু রানী কর্মকারের গান শেখা শুরু তৃতীয় শ্রেণীতে অধ্যয়নের সময় থেকে। মায়ের কাছেই গানে তার হাতেখড়ি। এরপর গুরু শ্যামল সরকারের কাছে কিছুদিন শিখেছেন। তারপর গত সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে শাস্ত্রীয় সংগীতের তালিম নিচ্ছেন পন্ডিত সঞ্জীব দে’র কাছে। তিনি মনে করেন, ‘গানটাকে এখনও বোঝার অনেক বাকি। আমি মনে করি, গান শেখার শেষ নেই। তাই আমৃত্যু গান শিখে যেতে চাই। আর শ্রোতাদের মনে থাকে এমন কিছু ভালো গান গাইতে চাই। ’
গানটা মূলত মিতুর মধ্যে এসেছে মামা বাড়ি থেকে। তার মায়ের মা গান করতেন। মা-ও গাইতেন ঘরোয়া পরিসরে। মিতু বললেন, ‘গান করার ক্ষেত্রে পরিবার আমাকে খুব সহযোগিতা করে। মা, বাবা আর ভাইয়ের পুরো সহযোগিতা আর আমার গুরু সঞ্জীব দে’র আর্শীবাদ আমাকে আজকে এখানে এনেছে। ’
বাংলাদেশ বেতারে প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে গান করেছেন মিতু। এরপর বিটিভিতে গেয়েছেন। তাকে পরিচিতি এনে দিয়েছে সৈয়দ আব্দুল হাদীর উপস্থাপনায় বাংলাভিশনের ‘গানে গানে দেশে দেশে’ অনুষ্ঠানটি। ‘আমার চলার পথ মসৃণ করে দিয়েছে অনেকের অকৃত্রিম সহযোগিতা। মাছরাঙা টেলিভিশনের জাবেদ ইকবাল তপু, এসএ টিভির কামরুজ্জামান রঞ্জু এবং মনি পাহাড়ির কথা না বললেই নয়। ’
শ্রোতামহলে মিতুর পরিচিতি আরেকটু বেড়েছে তমাল হাসানের সংগীতায়োজনে ‘খুঁজি তোমায়’ মিশ্র অ্যালবামের ‘বৃষ্টি তুমি’ গানটির সুবাদে। এবারের ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে এটি বাজারে এনেছে সপ্তসুর। এতে তার গাওয়া আরেকটি গান আছে। এখন একটু একটু করে একক অ্যালবামের কাজ করছেন তিনি। মিতু বললেন, ‘নিজের নামে একক অ্যালবামের কাজ শুরু করেছি। আশা আছে শিগগিরই এটা শ্রোতাদের উপহার দিতে পারবো। ’
গানের পথচলায় প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছেন মিতু। তবে দমে যাননি। ‘আমি আসলেই গানটাকে খুব ভালোবাসি, খুব। গান ছাড়া বেঁচে থাকা আমার কাছে অনেকটা অক্সিজেন ছাড়া বেঁচে থাকার মতো। তবে গানের ভুবনে এখনও আমার অনেক দূর যাওয়া বাকি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৫