ভোলার মঞ্চে নতুনদের মধ্যে যারা সুরের মূর্ছনায় শ্রোতাদের মুগ্ধ করে আসছেন তাদের মধ্যে বৃষ্টি নাগ অন্যতম। স্থানীয় সংগীতাঙ্গনে তিনি একজন সফল শিল্পী।
সংগীত পরিবারে জন্ম নেওয়ায় গানকেই ভালোবেসেছেন বৃষ্টি নাগ। ভোলা শহরের ওয়েস্টার্ন পাড়া পৌর ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দা দিপক নাগ ও কানন নাগের মেয়ে তিনি। বাবা ও মা দু’জনই সংগীতাঙ্গনের মানুষ। শৈশবেই সংগীতে হাতেখড়ি তার। মা-বাবার পাশাপাশি সংগীতশিল্পী মনজুর রহমান ও উত্তম ঘোষ তালিম দিয়েছেন তাকে। সুরেলা কণ্ঠের অধিকারী বৃষ্টি নাথ সপ্তম শ্রেণীতে অধ্যয়নকালে জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বরিশাল বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেন। এরপর অংশগ্রহণ করেন জাতীয় পর্যায়ে।
পরিবারের উৎসাহে সংগীতাঙ্গনে এসে ভোলার বিভিন্ন প্রোগামে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন বৃষ্টি। জেলায় অন্তত শতাধিক অনুষ্ঠান সংগীত পরিবেশন করে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছেন। সফল হয়েছেন জেলার বাইরে বরিশাল ও ঢাকার গাজীপুরে গান গেয়ে। এ ছাড়া ভারতের বারাসাত ও বিধাননগর এলাকায় বেশ কিছু অনুষ্ঠানে তার গান মুগ্ধ করেছে শ্রোতাদের। তিনি বললেন, ‘এসব ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া আমাকে আপ্লুত করে। ’
ভোলার সংগীতাঙ্গনে অবদান রাখা প্রয়াত গুরুদাস নাগ ও গোপাল নাগ পরিবারের সদস্য বৃষ্টি নাগ শুরু থেকেই মঞ্চে ভালো করে আসছেন। বর্তমানে তিনি ভোলা উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও স্বপ্নিল সংগঠনের নির্বাহী সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পেলে গানের মাধ্যমেই নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দেন তিনি।
এদিকে গানের বাইরে অভিনয়ও করেছেন বৃষ্টি নাগ। প্রথমবারের মতো মঞ্চনাটকে দেখা গেছে তাকে। গত ২৭ মার্চ শহরের কবি মোজ্জাম্মেল হক টাউন হলে মঞ্চস্থ হয় তার অভিনীত প্রথম নাটক।
২০১২ সালে ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ২০১৪ সালে ভোলা সরকারি ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন বৃষ্টি নাগ। এখন ভোলা সরকারি কলেজে ব্যবস্থাপনা বিভাগে অনার্স করছেন।
বৃষ্টির প্রিয় শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। তার মতো প্রতিষ্ঠিত শিল্পী হতে চান তিনি। তাই প্রতিভা বিকাশে তাকে অনুসরণ করে থাকেন বৃষ্টি। কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে নিরলসভাবে সংগীতচর্চা করছেন এই প্রতিভাবান ও সম্ভাবনাময়ী। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠিত আর বড়মাপের শিল্পী হতে চাই। সে লক্ষ্যে নিরলসভাবে সংগীত চর্চা করছি। শ্রোতাদের আন্তরিকতা ও ভালোবাসা পেলে আমার স্বপ্নপূরণ হবে বলে আশা রাখছি। ’
বংলাদেশ সময় : ১৫৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৫