এফডিসির তিন নম্বর ফ্লোরের দরজা প্রায় বন্ধ। একজন মানুষের চলাচলের জন্য একটু খোলা রাখা।
শিল্প নির্দেশক সামুরাই মারুফ তার দলবল নিয়ে ফ্লোর সাজাচ্ছেন। কালো রঙকে প্রাধান্য দিয়েছেন তিনি। কারণ একটু পর মারামারি হবে! চিত্রগ্রাহক চন্দন রায় চৌধুরী ফ্রেম সাজিয়ে নিচ্ছেন। এই ফাঁকে আলোর বিন্যাস চলছে। কিছুক্ষণ পর ট্রলির ওপর রাখা হলো ক্যামেরা। সামনে দু’পাশে দুটি চেয়ার। মাঝে একটি টেবিল। একটি চেয়ারে বসে আছেন ডিজে সোহেল। আরেকটা ফাঁকা রাখা হয়েছে সম্রাটের জন্য। সম্রাট মানে শাকিব খান।
ওদিকে সাজঘর স্যাভলন দিয়ে মোছা হচ্ছে। একটু পরেই ফ্লোরের সামনে এসে দাঁড়ালো শাকিবের গাড়ি। তিনি নেমে সাজঘরে ঢুকে গেলেন। তার আসা খবর জানাজানি হতেই মোটামুটি এলাহী কাণ্ড শুরু হতে লাগলো চারপাশে। তাকে সাজঘরে দৃশ্য পড়ে শোনালেন প্রধান সহকারী পরিচালক সেলিম। মনোযোগী ছাত্রের মতো শুনে পোশাক পরে ফেললেন জনপ্রিয় এই অভিনেতা। তিনি সাজঘর থেকে সেজেগুজে ফ্লোরে ঢুকতেই মানুষের সংখ্যা গেলো বেড়ে। ‘যাদের কাজ নেই তারা বাইরে যান’ বলতে বলতে গরম কমানোর উদ্যোগ নেওয়া শুরু করলেন প্রোডাকশন বয়রা।
শাকিবের পরনে স্যুট-টাই। তাকে অভিব্যক্তি বুঝিয়ে দিচ্ছেন রাজ। একটু পর তিনি ‘অ্যাকশন’ বলতেই ট্রলিতে ক্যামেরা চালানো শুরু হলো। ডিজে সোহেলের সামনে মদের গ্লাস। তিনি কায়দা করে হাত ঘুরিয়ে মদ গিললেন। আরেক পাশে শাকিব বেশ মেজাজি ঢঙে চুরুট ধরালেন। কয়েকটা সংলাপের পর দৃশ্যটি ভালোভাবে নেওয়া হলো। শাকিব বাইরে চলে গেলেন বাংলানিউজের আলোকচিত্রী নূরের সঙ্গে।
কিছুক্ষণ পর শাকিব ফিরে এলেন পরের দৃশ্যের জন্য। সামনের অনেকটা জায়গা ফাঁকা। রাজ ‘অ্যাকশন’ বলতেই শাকিব চেয়ার ছেড়ে কয়েক কদম সামনে এসে ওই ফাঁকা জায়গায় দাঁড়ালেন। পিছু পিছু এসে তার কাঁধে হাত রেখে সোহেল বললেন, ‘সিদ্ধান্ত পাল্টানোর জন্য ১০ সেকেন্ড সময় দিলাম তোমাকে। ’ মেজাজি হয়ে শাকিব হুমকির স্বরে বলে উঠলেন ‘হাতটা সরানোর জন্য তোমাকে পাঁচ সেকেন্ড দিলাম!’
সংলাপে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। আবহাওয়াও গরম। অবশ্য ঢোকার সময় বাইরে যেমন কড়া রোদ ছিলো, বেরিয়ে আসার বেলায় তা নেই। কিন্তু গরম একই!
বাংলাদেশ সময় : ১৫২০ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০১৫
জেএইচ