একবার ভাবুন তো, একজন অভিনেতা কতোটা জনপ্রিয় হলে তার মৃত্যু শোকে ভক্তরা আত্মহত্যা করতে পারে? বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের বরপুত্র সালমান শাহ দর্শক ও ভক্তদের কাছে ঠিক এতোটাই জনপ্রিয় ছিলেন। তার জন্য আত্মহত্যার ঘটনা, বিশ্ব চলচ্চিত্র ইতিহাসে অত্যন্ত বিরল এক ঘটনা।
দেখতে দেখতে বছর ঘুরে আবার আমাদের সামনে চলে এলো শোকাবহ সেপ্টেম্বর। যে মাসে আমরা হারিয়েছি, আমাদের প্রিয় অভিনেতা সালমান শাহকে। তার জন্মও কিন্তু এই সেপ্টেম্বরেই (১৯ সেপ্টেম্বর), ব্যাপারটা সত্যিই কাকতালীয়! সালমান জন্মেছিলেন সিলেট জেলার জকিগঞ্জে এবং তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত হন সিলেটেরই পূণ্যভূমি হযরত শাহ্ জালালের (রঃ) মাজারের পাশে।
আমাদের দেশীয় ছবির আধুনিকতা এবং হাল ফ্যাশনের রূপকার ছিলেন সালমান। সাবলীল অভিনয় গুণে অতি অল্প সময়ে দর্শক, ভক্তদের হৃদয়ে পাকাপোক্ত অবস্থান তৈরি করে নিতে সক্ষম হন তিনি। আজও তার অভিনীত কোনো ছবি বা গানের দৃশ্য দেখলে নিজের অজান্তে দুই চোখ অশ্রুসিক্ত হয়। অকালপ্রয়াত এই অভিনেতা আমাদের মাঝে নেই, এ কথা মনে পড়লে আজও আমাদের ভক্তদের বুকের ভেতরটা কেমন যেন হাহাকার করে ওঠে!
আগামী ৬ সেপ্টেম্বর সালমানের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। এদিনও আমরা তাকে স্মরণ করবো বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায়। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে নন্দিত এই অভিনেতার অবদান অসামান্য, এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু তাকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে এবং সামান্যতম শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করার জন্য আজ পর্যন্ত কিছুই কি আমরা করতে পেরেছি? জহির রায়হান কালার ল্যাব, মুক্তিযোদ্ধা জসিম ফ্লোর, মান্না ডিজিটাল কমপ্লেক্স ইত্যাদির মতো সালমানের নামে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার (বিএফডিসি) কোনো একটি স্থাপনার নামকরণ কি করা যায় না? এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সালমান শাহ স্মৃতি সংসদ ও তার সব ভক্তের পক্ষ থেকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। সালমান আমাদের মাঝে ছিলেন। আছেন। থাকবেন চিরদিন।
বাংলাদেশ সময় : ১৮৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৫
জেএইচ