সাঁতারে মেয়েদের ২০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে ২ মিনিট ১২.৮৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন জুনাইনা আহমেদ। নেপালের গৌরিকা সিং স্বর্ণ ও শিবাঙ্গী শর্মা রুপা জিতেছেন।
৪*১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল রিলেতে আসিফ রেজা-আরিফুল ইসলাম-মাহমুদুন্নবী নাহিদ-মাহফিজুর রহমান সাগর ৩ মিনিট ৩০ দশমিক ৭২ সেকেন্ড সময় নিয়ে বাংলাদেশকে ব্রোঞ্জ এনে দেন। এই ইভেন্টে স্বর্ণ শ্রীলঙ্কার, রৌপ্য ভারতের।
অ্যাথলেটিক্সে দশরথ স্টেডিয়ামে ৪০০ মিটার স্প্রিন্টের হিটে বাংলাদেশের জহির রায়হান তৃতীয় এবং আবু তালেব অষ্টম হয়ে ফাইনালে উন্নীত হন। তবে অসুস্থতার কারণে তারা ফাইনালে অংশ নিতে পারেননি। রেস শেষে দুজনই শ্বাসকষ্ট অনুভব করায় পাশের ব্লু-ক্রস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জরুরী বিভাগের চিকিৎসক পবন রাওয়াল জহির সম্পর্কে জানান, 'দুজনের পালস রেট স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। এ অবস্থায় আমরা তাকে ফাইনালে অংশ নেয়ার অনুমতি দিতে পারছি না। '
এদিকে, তায়কোয়ান্দোতে পুরুষ অনূর্ধ্ব-৮৭ কেজিতে ব্রোঞ্জ জিতেছেন রাসেল খান। নেপালের প্রতিযোগীর কাছে হারেন রাসেল। অনূর্ধ্ব-৬৭ কেজিতে সালমা খাতুন নেপালের প্রতিপক্ষের কাছে হেরে ব্রোঞ্জ পান।
পোখারায় ছেলেদের হ্যান্ডবলে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মালদ্বীপকে ৩৮-২২ গোলে হারায় বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ ১৬-১০ গোলে এগিয়ে ছিল। প্রথম ম্যাচে ভারতের সাথে লড়াইয়ের পর ৪২-৩৩ গোলে হারে তারা। আগামীকাল সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ মহিলা দল শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে।
মেয়েদের হ্যান্ডবলে নেপালের কাছে ২৬-২৪ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ ১৩-১২ গোলে এগিয়ে ছিল।
উশুতে নান চুয়ান নান দা অলরাউন্ড ইভেন্টে বাংলাদেশকে রৌপ্য পদক উপহার দিয়েছেন মর্জিনা আক্তার। শ্রীলঙ্কার প্রতিপক্ষকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠা মর্জিনা হেরে যান নেপালের প্রতিযোগীর কাছে। ১৮.৯১ পয়েন্ট নিয়ে সোনা জিতেছেন নেপালের নিমা ঘারতি মাগার। মর্জিনার পয়েন্ট ১৬.৩০। শ্রীলঙ্কার সাঞ্জু কুমারি ১৪.৭৪ পয়েন্ট নিয়ে ব্রোঞ্জ পান।
আর ছেলেদের ৫৬ কেজি সান দায় ভারতের উচিত শর্মার কাছে হেরে রৌপ্য পান সজীব হোসেন। পুরুষ দাও শু অলরাউন্ড ইভেন্টে রাশেদ হোসেন ও উশুর তাইজি-তাইজি জিয়ান অলরাউন্ড ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন দীপ্তি দাস।
পোখারায় ছেলেদের ৫৫ কেজি ওজন শ্রেণীতে রৌপ্য পদক জিতেছেন বাংলাদেশের রাজকুমার রায়। স্ন্যাচ (৮০) এবং ক্লিন এন্ড জার্ক (১০৪) মিলিয়ে ১৮৪ কেজি তুলেছেন তিনি। এই ইভেন্টে সোনা জিতেছেন শ্রীলঙ্কার ওয়াইডিআই কুমারা (মোট ২৩৫ কেজি)। ব্রোঞ্জ নেপালের তুলারামের (মোট ১৭৮ কেজি)
মেয়েদের ৫৫ কেজি ওজন শ্রেণীতে বাংলাদেশের ফুলপতি চাকমা রৌপ্য পদক জিতেছেন। স্ন্যাচে ৬৩ কেজি এবং ক্লিন এন্ড জার্কে ৮৫ কেজি মিলিয়ে সর্বমোট ১৪৮ কেজি ওজন তুলে রৌপ্যপদক জেতেন তিনি। ভারতের বিন্দিয়ারানী দেবী ১৭১ কেজি তুলে স্বর্ণ এবং পাকিস্তানের সাইমা শাহাজাদ ১৩৫ কেজি ওজন তুলে ব্রোঞ্জ পান।
ছেলেদের ৬১ কেজি ওজন শ্রেণীতে বাংলাদেশের মোস্তাইন বিল্লাহ সব মিলিয়ে ২৩৫ কেজি ওজন তুলে ব্রোঞ্জ পান তিনি। মেয়েদের ৪৯ কেজি ওজন শ্রেণীতে মোল্লা সাবিরা সুলতানা সবমিলিয়ে ১৩০ কেজি ওজন তুলে ব্রোঞ্জ পান। ৫৯ কেজিতে ফাহিমা আক্তার ময়না ব্রোঞ্জ পান।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯
এমআরপি