তৎকালীন আসাম সরকার ঘোষণা দেয় আসাম রাজ্যে শুধু অসমিয়া ভাষা চালু থাকবে অন্য কোনো ভাষা চলবেনা। এর প্রতিবাদে ও বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতির দাবিতে ১৯৬১ সালের ১৯ মে রাস্তায় নেমে সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানায় সাধারণ মানুষ।
প্রতিবাদীদের উপর নির্বিচারে গুলি চালালে শহীদ হন বেশ কয়েকজন। দিনটিকে প্রতিবছর আসামের বরাক উপত্যকা ও ত্রিপুরা রাজ্যে দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
শুক্রবার (১৯ মে) সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠানটি হয় উত্তর জেলার ধর্মনগরে। স্থানীয় বিবেকানন্দ সার্ধশতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী বিজিতা নাথ, উত্তর ত্রিপুরা জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিমা দাস, বিধায়ক রাজেন্দ্র রিয়াং, ধর্মনগর পুরপরিষদের চেয়ারম্যান শক্তি ভট্টাচার্য্য, সাবেক বিধায়ক অমিতাভ দত্ত প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে রাজ্যের খ্যতনামা কবি অনুকূন সিনহাকে ভাষা সম্মাননা জানানো হয়। মন্ত্রী বিজিতা নাথ তার হাতে সম্মাননাপত্র তুলে দেন।
ত্রিপুরা সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর, ধর্মনগর পুরপরিষদ এবং উত্তর ত্রিপুরা জেলা পরিষদের যৌথ উদ্যোগে হয় এ দিনের অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৭
এসসিএন/এএ