অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শ্যাম সুন্দর কোম্পানি জুয়েলার্সের কর্ণধার রূপক সাহা, তার স্ত্রী অর্পিতা সাহা প্রমুখ।
উৎসবে ভারতের বিশিষ্ট শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী কৌশিকী চক্রবর্তী, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী মেহেতাব মুল্লা, বিশিষ্ট সরোদ বাদক আমান আলি খানসহ রাজ্যের আদিবাসী, বাঙ্গালি জ্ঞানীগুণী মোট ২৬ জন শিল্পী তাদের ঝলক তুলে ধরছেন।
ত্রিপুরা রাজ্যের বিশিষ্ট ককবরক সঙ্গীত শিল্পী সদাগর দেববর্মাকে আয়োজকদের তরফে সংবর্ধিত করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার তার হাতে সম্মাননা পত্র তুলে দেন।
উৎসবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেন, এখন দেশে শিল্পীদের স্বাধীনতাকে আক্রমণ করার চেষ্টা হচ্ছে। এর জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আমাদের দেশ বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য, কিন্তু এটাকে এক ভাষা ও এক সংস্কৃতি করার অপপ্রয়াস চলছে। এর বিরুদ্ধে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। ত্রিপুরা রাজ্যে নানা বৈচিত্র্যের যে সংস্কৃতি রয়েছে তা সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়াই আগরতলা উৎসবের মূল লক্ষ্য।
উৎসব উপলক্ষে রবীন্দ্র ভবন চত্বর আক্ষরিক অর্থেই হয়ে উঠেছে উৎসব মুখর। বাঙ্গালিদের নানা উৎসব ও পার্বনে বাজানো হয় ঢাক। আগরতলা উৎসব উপলক্ষে রবীন্দ্র ভবনের বাইরে নিয়ে আসা হয়েছে ঢাকিদেরকে। ঢাকের শব্দ উৎসবে আসা মানুষদেরই শুধু নয়, পথচলতি মানুষেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩২ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৭
এসসিএন/আরআই