ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভোটের-কথা

কানসাট-শিবগঞ্জ জুড়ে শিমুলের ছায়া

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৯ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৭
কানসাট-শিবগঞ্জ জুড়ে শিমুলের ছায়া ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল। ছবি: শাহজাহান মোল্লা

কানসাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) থেকে: আর মাত্র বছর দেড়ের বাদেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে তৃণমূলে নেতাকর্মীরা সরব হয়ে উঠছেন। নিজেদের প্রার্থী হিসেবে পরিচিত করাতে নির্বাচনী এলাকায় পোস্টার লাগিয়ে ভোট চাইতে শুরু করেছেন অনেকে।   

রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি গ্রাম ঘুরে তৃণমূলের মানুষের সঙ্গে কথা বলে বেশ টের পাওয়া যায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের উত্তাপ।
 
চাপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মো. গোলাম  রাব্বানীর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে।

শিবগঞ্জ-কানসাট নিয়ে গঠিত চাপাইনবাবগঞ্জ-১ আসন। এ আসনে গোলাম রাব্বানী ছাড়াও আওয়ামী লীগের আরো দু’জন হেভিওয়েট প্রার্থী এবার ভোটের লাড়াইয়ে নামতে চান।
 
এদের একজন সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) প্রকৌশলী মোহাম্মদ এনামুল হক। অন্যজন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল।  
 
এদের মধ্যে সাবেক প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক এলাকায় পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে সমধিক পরিচিত। তবে দু:সময়ে দলের পাশে না থাকার কারণে তৃণমূলে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে এনামুলের প্রতি। আর ডা. শিমুলের বাবা মইন উদ্দিন আহমেদ মন্টু ডাক্তার জনদরদি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক সহযোগী হিসেবে এলাকার সব বয়সী মানুষের গ্রহণযোগ্যতা ব্যক্তি।  
 
বাপের সুনামকে কাজে লাগিয়ে রাজনীতিতে এগিয়ে যেতে চান ডা. শিমুল।   রাজশাহী মেডিকেল কলেজের চাকরি ছেড়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে ভোট  করেন তিনি। তবে ভাগ্য সহায় হয়নি সেবার।
 
তৃণমূলের নেতাকর্মীদের দাবি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী আওয়ামী লীগের দু:সময়ে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন না। বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচনের সময় অনেকটা গা ঢাকা দিয়েই ছিলেন সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী।
 
অন্যদিকে বর্তমান সংসদ সদস্য গোলাম রাব্বানী দশম সংসদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়ায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের পাত্তা দেন না বলে জোরালো অভিযোগ আছে তৃণমূলে।  
 
তৃণমূলের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার  হোসেন আনু বাংলানিউজকে বলেন, গোলাম রাব্বানী মুদি দোকানদার থেকে আজ এমপি। দলের জন্য তার তেমন কোনো অবদান নেই। সেবার ব্রিগেডিয়ার ভোট না করায় বিনাভোটে তিনি এমপি হয়েছেন। যে কারণে আমাদের এখন চেনেন না।   আমরা চাই, যাদের শেকড় আওয়ামী লীগে তারাই প্রার্থী হোক। এরমধ্যে ডা. শিমুলের বাবার অনেক অবদান আছে শিবগঞ্জ-কানসাট আওয়ামী লীগের জন্য।
 
সোনাদিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল মওদুদ এর অভিযোগ, গোলাম রাব্বানী তার স্বার্থের জন্য আন্দোলন করেছিলেন। এমপি হয়ে গেছেন, তার স্বার্থ উদ্ধার হয়ে গেছে। এই কয়েক বছরে উনি তেমন কিছুই করেননি।
 
এমপি গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নিজ দলের প্রার্থীকে ঠকানোর বদনাম রয়েছে। এমনকি একটি  ইউনিয়নে তার ভাই মো. বেনাউল ইসলামকে ৬ নং  কানসাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান করেছেন। এভাবে অনেক ত্যাগী নেতাকে পেছনে ফেলে জামায়াত-বিএনপিকে কাছে টানছেন এমপি গোলাম রাব্বানী। ফলে কানসাট-শিবগঞ্জ জুড়ে ডা. শিমুলের ছায়া দেখা যায়। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় নিজের ছবি ও নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট চাইতে শুরু করেছেন। তার বেশ কিছু পোস্টারে সরকারের উন্নয়নমূলক বিভিন্ন চিত্র ফুটে উঠেছে। তিনি নৌকার পক্ষে ভোট চাইছেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৭
এসএম/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।