এরপরও সংক্ষেপে কয়েকটি তথ্য দেওয়া যাক, প্রতিবছর স্বাধীনতা ও প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনে হর্টিকালচার শো আয়োজন করে কর্ণাটকা রাজ্য। এটি ‘লালবাগ ফ্লাওয়ার শো’ নামে বেশি পরিচিত।
লালবাগ ফ্লাওয়ার শো হওয়ার কারণ, লালবাগ বোটানিকাল গার্ডেনের গ্লাস হাউজে গাছ ও ফুলের প্রদর্শনীটি হয়ে থাকে। ভৌগলিক অবস্থানে বোটানিকাল গার্ডেনটি ব্যাঙ্গালোরের দক্ষিণ দিকে। এবার গত ০৪ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে শো, শেষ হবে ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসে।
কিন্তু এবারের ফ্লাওয়ার শো-তে এমন বিশেষ কিছু আয়োজন রয়েছে যা আগের ২০৫টি প্রদর্শনীতে করা হয়নি। লেখা যায়, লালবাগ ফ্লাওয়ার শো-এর ইতিহাসে এই প্রথম।
সংখ্যার দিক থেকেও ২০৬তম শো এগিয়ে, ২০ হাজারেরও বেশি টবে রোপণ করা গাছ ও দুইশোরও বেশি প্রজাতির ফুল রয়েছে প্রদর্শনীতে। আয়োজকরা যেটিকে বলছে, স্মরণীয় মাইলফলক।
এছাড়া ফ্লাওয়ার শো-এ প্রথমবারের মতো আড়াইশো সিমবিডিয়াম ফুল রাখা হয়েছে। নেদারল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার এ ফুলগুলো হয়ে থাকে ভারতের সিকিম ও দার্জিলিংয়ে।
থাকছে ঠাণ্ডা আবহাওয়ার ফুল যেমন- ইমপ্যাশেন্স, বেগোনিয়া ও ফুচসিয়া। বিশেষ বাটারফ্লাই রেপ্লিকায় ব্যবহৃত হয়েছে গোলাপ, অর্কিড, ক্রিসেন্থেমাম ও কারনেশন।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে তিন মাস আগে থেকে পরিচর্যা করা হয়েছে নয় লাখ চারা। এগুলো লালবাগ বোটানিকাল গার্ডেনের গ্লাস হাউজ ও ব্যান্ড স্ট্যান্ডের (বাজনাঘর) আশেপাশে ছাড়াও শহরের কেম্পেগৌড়া টাওয়ার, ডিরেক্টর’র ক্যাম্পাস, ডিএইচও লন, থ্রি ফসিল এরিয়া ও জাভা ফিগ এরিয়ায় লাগানো হবে। এগুলোর অধিকাংশই দীর্ঘজীবী ফুলগাছ।
এখানেই শেষ নয়! স্বাধীনতা দিবসের দিন (১৫ আগস্ট) ফুল দিয়ে বানানো ২৫টি শিল্পকর্ম শোভা পাবে বিভিন্ন জায়গায়। জায়গার হিসেব করলে শহরের ১০ হাজার বর্গফুট জুড়ে থাকবে ফুল।
গ্লাস হাউজে প্রদর্শিত হচ্ছে ৮শ শিল্পকর্ম। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা প্রায় আড়াইশো কৃষক প্রদর্শন করছেন দুর্লভ সব গাছ।
এতো এতো আয়োজনের পেছনে রাজ্যের উদ্দেশ্য আগের প্রতিবেদনে একবার বলা হয়েছে, আবারও বলা যায়। ভালো কাজের কথা বারবার বললে ক্ষতি নেই!
‘বাচ্চা থেকে বুড়োরা যেনো হরেক প্রজাতির গাছ ও ফুল সম্পর্কে জানাতে পারে; সেইসঙ্গে সাধারণ মানুষ যেনো বন সংরক্ষণ ও গাছ লাগানোয় আগ্রহী হয়ে ওঠে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৭
এসএনএস