কলকাতা: সকাল থেকেই পশ্চিমবাংলার আকাশে সূর্য়ের দেখা নেই। ঘন মেঘ জমে আছে, সঙ্গে বিক্ষিপ্ত ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি কলকাতায়।
এ দু’দিন সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী থেকে হালকা ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হতে পারে। ফলে সোমবার সকাল পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
এদিকে উত্তর-পশ্চিম ভারতে পশ্চিমা ঝড় ঢুকেছে। এর প্রভাবে রবি ও সোমবার ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চন্ডিগড় ও দিল্লিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। পশ্চিমা ঝড়ের জেরে ভারী বৃষ্টি ও তুষারপাত হতে পারে হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ ও মুজাফফরাবাদে। আবহাওয়াবিদদের মতে এই দুই ঝড় বিদায় নিলে উত্তরের বাতাসের পথ খুলবে। তারপরই শীত পড়ার অনুকূল পরিস্থিতিও তৈরি হবে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, সাগরে কোনো শক্তিশালী নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে বায়ুমন্ডলের উপরে গভীর প্রভাব পড়ে। তাতে আবহাওয়ার স্বাভাবিক ছন্দ নষ্ট হয়। নিম্নচাপ বিদায় নেওয়ার পরেও পুরনো ছন্দ ফিরে পেতে কয়েক দিন সময় লাগে।
বাংলায় শীত কতটা প্রভাব বিস্তার করবে, তা নির্ভর করে উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতে ওপর। উত্তর ভারতের পার্বত্য এলাকায় তুষারপাত হলে এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতে ঠাণ্ডা জেঁকে বসার পর সেখান থেকে কনকনে শীতল হাওয়া পূর্ব ভারত অর্থাৎ বাংলার দিকে বয়ে আসে।
দিল্লির মৌসুম ভবনের খবর, দিন দুয়েক পর থেকে উত্তর-পশ্চিম ভারতে রাতের তাপমাত্রায় ২ থেকে ৪ ডিগ্রির নিচে চলে যাবে। যার জেরে চলতি সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে কলকাতাসহ গোটা পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় রাতের তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। ফলে বাংলায় নিম্নচাপ এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতে পশ্চিমা ঝড় কেটে গেলেই জেঁকে বসবে শীত।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০২১
বিএস/এমজেএফ