ঢাকা: প্রতি বছরই ঈদে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস নিয়ে জটিলতার তৈরি হয়। এবারও রোজার শুরুতেই বেতন-বোনাস নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে শ্রমিকদের কেনা-কাটার বিষয় থাকে। আর তাই ৩০ জুনের মধ্যে বোনাস দিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু জুন মাসের বেতন দেওয়া হবে না। কারণ, ৩০ জুনের মধ্যে বেতন দিয়ে দেওয়া হলে শ্রমিকদের কারখানায় না এসে গ্রামের বাড়িতে চলে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। এতে করে উৎপাদনে সমস্যা হতে পারে। তাই জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে জুন মাসের বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গার্মেন্টস মালিকরা।
বিজিএমইএ’র সহ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বাংলানিউজকে বলেন, ‘ঈদে শ্রমিকরা তাদের পরিবার-পরিজনদের জন্য সামর্থ্য অনুযায়ী কেনাকাটা করেন, তা আমরা জানি। আর সে বিষয়টি মাথায় রেখেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, ৩০ জুনের মধ্যে বোনাস দেওয়া হবে যেন শ্রমিকরা তাদের কেনাকাটা করতে পারেন। আর শ্রম আইনে যেহেতু আছে মাস শেষ হওয়ার প্রথম ৭ কর্মদিবসের মধ্যে বেতন দিতে হবে, তাই ৫ জুলাইয়ের মধ্যে বেতন দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো’।
পুরো বছর শ্রমিকরা কাজ করেন কেবলমাত্র দু’টি ঈদে পরিবার-পরিজন নিয়ে একটু আনন্দ করার জন্য। আর সেখানে বোনাসের সামান্য অর্থ দিয়ে কেনাকাটা করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন শ্রমিকনেত্রী নাজমা আক্তার।
নাজমা আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, একজন শ্রমিক ঈদে নিজের জন্য হয়তো কিছুই কেনেন না। কেনেন তার সন্তান, বাবা-মা, ভাই-বোন ও কাছের আত্মীয়দের জন্য। পুরো বছর তারা হাড়ভাঙা খাটুনি খাটেন, শুধু এটি করার জন্যই। কিন্তু বোনাসের সামান্য অর্থ দিয়ে তার পক্ষে কিছুই করা সম্ভব হবে না। তাই আমরা দাবি করছি, যেন ৩০ জুনের মধ্যে শ্রমিকদের জুন মাসের বেতনও পরিশোধ করা হয়। তাতে শ্রমিকরা উপকৃত হবেন।
গত ২২ মে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে গার্মেন্টস মালিকদের ২১ রমজানের মধ্যে শ্রমিকদের বোনাস দিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তাছাড়া শ্রমিকরা ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার আগেই জুন মাসের বেতন পরিশোধের বিষয়েও বলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৬
ইউএম/এএসআর