অত্যাধুনিক কৃষি-প্রযুক্তির সঙ্গে সাধারণ মানুষের পরিচয় করিয়ে দিতে ৫ অক্টোবর মঙ্গলবার থেকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হয় বাংলালিংক অ্যাগ্রো বাংলাদেশ কৃষি মেলা। আজ ৭ অক্টোবর তিন দিনব্যাপী এ মেলার শেষ দিন।
মেলা প্রাঙ্গণে কথা হয় কয়েকজন কৃষি অনুরাগীর সঙ্গে। তাদের অভিযোগ- এটি রাজধানীকেন্দ্রিক হওয়াতে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও দেশের অন্যান্য জেলার অনেকে অংশ নিতে পারননি।
বগুড়া থেকে এসেছিলেন আজিজ উদ্দিন হালদার। বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বললেন, শুধু রাজধানীকেন্দ্রিক না হয়ে এ ধরনের মেলা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আয়োজন করা উচিত। কেননা প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ কৃষকরা এসব প্রযুক্তি সম্পর্কে অবহিত নন। সর্বস্তরের কৃষি অনুরাগীদের এসব বিষয়ে উৎসাহিত করা না গেলে দেশ অগ্রসর হতে পারবে না।
শুধু আজিজ উদ্দিন হালদার নন রাজশাহীর শাফিকুর রহমান, ধামরাইয়ের সালেহ সর্দার, কেরনীগঞ্জের মোসলেম মিয়া এরা সবাই এসেছিলেন কৃষি বিষয়ক আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হতে। তাদের কথাতেও ফুটে ওঠে প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ মেলা আয়োজনের প্রসঙ্গ।
তবে এ ধরনের মেলার নিয়মিত আয়োজন কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের কৃষকদের জন্য অনেক উপকার বয়ে আনতে পারে- এ মন্তব্য করতেও যেন ভুলে যাননি কেউ।
কৃষি এবং প্রাণী ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ মেলার যৌথ আয়োজক বাংলাদেশের অন্যতম মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক।
আয়োজকরা বলেছেন, একটি দেশের কৃষি যতোটা প্রযুক্তিনির্ভর হবে সেদেশের উৎপাদনও ততো বাড়বে। সুতরাং কৃষি প্রযুক্তির সঙ্গে সাধারণ মানুষজনকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। এসব বিষয় মাথায় রেখেই এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
সবার কথা চিন্তা করে পর্যায়ক্রমে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এ ধরনের মেলা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান আয়োজকরা। এবারের মেলায় বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, সিঙ্গাপুর, জাপান, চীন, ভিয়েতনাম, জার্মানীর কৃষি প্রযুক্তি তৈরিকারক প্রায় ১০০টি প্রতিষ্ঠান কৃষি নির্ভর প্রযুক্তি প্রদর্শন করেছে। মেলায় স্টল সংখ্যা ১৫০টি।
আজ ৭ অক্টোবর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস আনুষ্ঠানিকভাবে এ মেলার সমাপণী ঘোষণা করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১০