বিশ্বে অর্থনীতির পুরো চেহরাই পাল্টে দিয়েছে মোবাইল ফোন। তবে বিশ্বব্যাপী নারীরা এখনও মোবাইল ফোন ব্যবহারে ততটা অগ্রসর হয়ে উঠতে পারেনি।
এরই মধ্যে নারীদের মোবাইল ফোন ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে বিখ্যাত ক’জন নারী উদ্যোগ নিয়েছেন। বিশ্বব্যাপী মোবাইল ফোন ব্যবহারে নারীদের উদ্বুদ্ধ করাই তাদের মূল লক্ষ্য। উল্লেখ্য, শেরি ব্লেয়ার এবং হিলারি কিনটন এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রাথমিক উদ্যোগ নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, শেরি ব্লেয়ার হচ্ছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সহধর্মিনী। আর হিলারি ক্লিনটন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন।
শেরি ব্লেয়ার জানান, মানুষের জানার অসংখ্য বিষয় মোবাইল ফোনে অন্তর্ভূক্ত আছে। যা অর্জনে সীমিত জ্ঞান আরও সম্প্রসারিত করা সম্ভব। মিসেস ব্লেয়ার বলেন, আমাদের এ পদক্ষেপে বিশ্বের সর্বস্তরের নারীরা উপকৃত হবেন।
হিলারি কিনটন বলেন, বিশ্বের ১৫ কোটি নারীকে এ প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত করা আমাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্যে। গবেষণার সূত্র মতে, আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে বসবাসকারীদের মধ্যে মোবাইল ফোন ব্যবহারের হিসাবে পুরুষদের থেকে নারীরা শতকরা ২৩ ভাগ পিছিয়ে আছে।
এ সংখ্যা মধ্যপ্রাচ্যে শতকরা ২৪ ভাগ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শতকরা ৩৭ ভাগ। অন্যদিকে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যত সংখ্যক পুরুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে নারীদের সংখ্যা তার চেয়ে প্রায় ৩০ কোটি কম। জিএসএম গবেষণা সংস্থার অনুসন্ধানে এ তথ্য পাওয়া যায়।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির মাধ্যমে মিসেস ব্লেয়ার মোবাইল ফোন ব্যবহারে বিশ্বব্যাপী নারীদের উৎসাহিত করেন। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষাগত দক্ষতা বাড়ানো, স্বাস্থ্য সচেনতা, স্বল্প পরিসরের ব্যবসা পরিচালনার সহজ পরামর্শ পাওয়া সম্ভব বলে তিনি জানান।
ফলে পিছিয়ে পড়া নারীদের আর্থিক উন্নয়নে মোবাইল ফোন বিশেষ অবদান রাখতে সক্ষম। এ উদ্যোগের মাধ্যমে আগামী তিন বছরের মধ্যে নারী এবং পুরুষের এ মোবাইল ফোন বৈষম্যের সংখ্যা কমে আসবে বলে উদ্যোক্তার ধারণা করছেন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৭২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১০