প্রযুক্তির মান্নোয়নে মানুষের কর্মক্ষমতা এখন রোবটের দখলে। এখন রোবট গাড়ি চালাতে পারে সেইসাথে বাস্তব মানুষের মতো ঘরের প্রায় কাজ করতেও পারদর্শী।
অদ্ভূত আচরণের এ মেয়ে রোবট জীবন্ত শিল্পীকে অনুকরণ করে হুবহু গান গাইতে পারে। বিখ্যাত পপ তারকা লেডি গাগা, সবকিছুতে ঝিমিয়ে গেলেও সে কখনও মানুষের মাঝ থেকে হারাবেনা। আর বিখ্যাত এ পপ শিল্পীর ভঙ্গিমায় গান গেয়ে রীতিমতো সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয় এ রোবট।
এ রোবট সঙ্গীতশিল্পীর নাম এইচআরপি৪। স্বাভাবিক শারীরিক গরনের এ রোবটের মুখের ভঙ্গিমা এবং বৈশিষ্ট্যগুলো প্রাণবন্ত। এ মেয়ে রোবেটের চিন্তাভাবনা অবিকল সত্যিকারের পপ তারকাদের মতো।
দ্য ডেইলি মেইল সংবাদমাধ্যমে জাপানের ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্স ইন্ড্রাস্টিয়াল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজির ম্যাসাটাকা গোটু জানান, প্রাথমিক অবস্থায় এ রোবট তৈরিতে দুটি প্রযুক্তির সফল ব্যবহার হয়েছে।
ম্যাসাটাকা বলেন, নতুন ভোকাললিসেনার সফটওয়্যার ব্যবহার করে রোবটটি তৈরি হয়েছে। এ সফটওয়্যার কণ্ঠস্বরের সংশ্লেষণে ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া রোবটের মুখের বাস্তবিক অভিব্যক্তি প্রকাশে অন্য প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। এ প্রযুক্তির নাম ভোকাওয়েচার।
এ সফটওয়্যারটি একজন সঙ্গীতশিল্পীর গানের ভিডিও পর্যবেক্ষণ করে স্বভাবগত সব বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী রোবটের ভাবমূর্তি তৈরি করে বলে গোটু জানান।
এ মেয়ে রোবটটি গান গায় সিনথাসাইজড ভয়েস প্রযুক্তির মাধ্যমে। কণ্ঠস্বর অবিকল মানুষের মতোই। এ রোবটের নির্মাতারা সত্যিকারের সঙ্গীতশিল্পীর আদলে এ মেয়ে রোবট তৈরি করেছেন। এ রোবটের প্রতিটি আচরণের দিক রেকর্ড প্লেয়ারে ধারণ করা হয়। উল্লেখ্য, মেয়ে রোবটটি হুবহু একটি জাপানি গান গেয়ে শ্রোতাদের চমকে দেয়।
উল্লেখ্য, এ রোবট উন্নয়নে এরই মধ্যে ইয়ামাহার ভোকালোইড সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এ বছর নিজস্ব প্রযুক্তির ব্যবহারে এ রোবটের সফল পরীক্ষা করা হয়।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৬০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১০