আগামী ২৮ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দিনব্যাপী বাংলাদেশে ব্যবহৃত সিমিউইফোর সাবমেরিন কেবলের পাওয়ার কনফিগারেশন এবং রিপিটার প্রতিস্থাপনের কাজ চলবে।
এ কারণে ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ সময় রাত ১টা থেকে ভোররাত ৪টা পর্যন্ত পাওয়ার কনফিগারেশনের জন্য পূর্ব এবং পশ্চিম দিকের সিমিউইফোর সাবমেরিন কেবলের সার্কিটগুলো বিকল হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, এ সাবমেরিন কেবল রিপিটার প্রতিস্থাপনে বাংলাদেশের ইন্টারনেট সেবায় বড় ধরনের কোনো বিপর্যয় হবে না। এ সময়ে জরুরি সার্কিটগুলো ভিস্যাট ও স্যাটেলাইটের মাধ্যমে চালু রাখার বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আগামী ২৯ অক্টোবর হতে ১ নভেম্বর এই পাঁচ দিন বাংলাদেশের পূর্বে মালেশিয়ার মালাকা এবং সিঙ্গাপুরের সাতুনের মধ্যভাগে রিপিটার প্রতিস্থাপনের কাজ করা হবে। তাই বিকল্প রুট হিসেবে অর্থাৎ রিরুটিং করে চেন্নাই থেকে আইটুআই কেবল (এ কেবলটি ভারতীয় এয়ারটেলের) ধরে বাংলাদেশের ট্রাফিক সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ভারতী এয়ারটেলের এ কেবল ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশকে কিছু সেবাব্যয় দিতে হতে পারে। যেহেতু সিঙ্গাপুর থেকে সরাসরি ব্যান্ডউইথ পাওয়া যাবে না, তাই ইতালি থেকে ব্যান্ডউইথ নিয়ে এ চাহিদা সাময়িকভাবে পূরণ করা হবে।
মনোয়ার হোসেন উল্লেখ করেন, সিমিউইফোর সাবমেরিন কেবলের এ সংস্কার কাজের কারণে বাংলাদেশের পূর্বদিকের দেশগুলোর সঙ্গে ভয়েস কল এবং ইন্টারনেট সেবা-- এ দু`সেবায় বিপর্যয়ের কোনো সম্ভাবনা নেই।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পূর্ব দিকে মালেশিয়া এবং সিঙ্গাপুরের মধ্যভাগে মেরামত কাজ চলবে তাই পশ্চিমে অবস্থিত ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে টেলিযোগাযোগে কোনো সমস্য হবে না। এমনকি ইন্টারনেট সেবাও থাকবে নিরবিচ্ছিন্ন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৭১৫, অক্টোবর ২৪, ২০১০