ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ইনফো সরকার তৈরিতে চীনের সঙ্গে চুক্তি

আইসিটি রিপোর্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১২
ইনফো সরকার তৈরিতে চীনের সঙ্গে চুক্তি

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত সব ধরনের সরকারি দপ্তরে নেটওয়ার্কের আওতায় এনে ই-গর্ভন্যান্স চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল চীন সরকারের আর্থিক সহায়তায় ‘ডেভেলপমেন্ট আইসিটি-ইনফ্রা নেটওয়ার্ক ফল বাংলাদেশ গর্ভমেন্ট ফেস-২’ (ইনফো-সরকার) শীর্ষক ‘জি২জি’ প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে সরকারের বিবেচনাধীন আছে।

এ প্রকল্পের জন্য চীনা সরকার ১৩ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

এ প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় বিটিসিএলয়ের বিদ্যমান টেলিকমিউনিকেশন অবকাঠামো ব্যবহার করে দেশের উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে। দেশের সব জেলা থেকে আওতাধীন উপজেলা পর্যন্ত, জেলার বিভাগীয় শহরে বিদ্যমান সব সরকারি দপ্তরে প্রতিটি সংযোগে বিটিসিএলের সার্ভিস ব্যবহার করা হবে।

এ প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত নেটওয়ার্ককে উপজেলা পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা হবে। প্রসঙ্গত, ১৩ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ ক্রয় কমিটি কর্তৃক প্রথম পর্বের দরপ্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। এ দুটি প্রকল্পই ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়িত হলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে একটি বড় সাফল্য অর্জিত হবে। এমনটাই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ প্রকল্পের আওতায় ৪৮৫টি উপজেলার সব সরকারি দপ্তরকে নেটওয়ার্কের আওতায়ভুক্ত করা, প্রচলিত ডাটা সেন্টারের ক্যাপাসিটি বর্ধিতকরণ, ডিজাস্টার রিকোভারি সেন্টার স্থাপন, বাংলাদেশ সচিবালয়ে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক স্থাপন, প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বে স্থাপিত সরকারি নেটওয়ার্কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে, ৮০০টি লোকেশন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।

এর মধ্যে ৩০০টি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আছে। সরকারের মাঠ পর্যায়ে যোগাযোগে ট্যাবলেট পিসি অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। এতে ট্যাবলেট পিসি অর্ন্তভূক্ত করায় এ প্রকল্পে মাঠ পর্যায়ে ভিডিও কনফারেন্সিং, ইমেইল, বার্তা প্রদান, সরকারি ফরম পূরণ, নেটওয়ার্কভিত্তিক টেলিফোন হিসেবে ব্যবহারে বহুবিধ সুবিধা পাওয়া যাবে।

এতে দেশজুড়ে ই-সার্ভিসে দারুণ সাফল্য অর্জিত হবে। এ প্রকল্পের আওতায় আনুমানিক ৩০০ জন ব্যবহারকারীর সার্টিফাইড প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

এ প্রকল্পের জন্য চীন সরকার ৮৬ কোটি চীনা ইয়েন ঋণের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে চীন সরকার ‘চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন’ বাংলাদেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্বাচিত করেছে।

বাংলাদেশ সময় ১৭৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১২
সম্পাদনা : সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।