ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

টুইটারে দূর্যোগ সম্পর্কিত ‘লাইফলাইন’ ফিচার

সিজারাজ জাহান মিমি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১২
টুইটারে দূর্যোগ সম্পর্কিত ‘লাইফলাইন’ ফিচার

লাইফলাইন নামের নতুন একটি ফিচার যোগ হয়েছে সোশ্যাল সাইট টুইটারে। গত ২২ সেপ্টেম্বর টুইটার নতুন এ ফিচারের ঘোষণা দেয়।

ঐ সময় টুইটার জানায়, এ মুহূর্তে সেবাটি কেবল জাপানের ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে তবে বিশ্বের অন্যান্য টুইটার ব্যবহারকারীদের জন্য অচিরেই সেবাটি মুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

লাইফলাইন প্রসঙ্গে জানানো হয়, প্রাকৃতিক দূর্যোগ বা সঙ্কটকালে এটি বিভিন্ন জরুরি খবরাখবর প্রেরণ করে ব্যবহারকারীদের সাহায্য করতে পারবে। ফিচারটি জাপানের স্থানীয় অ্যাকাউন্টগুলো দেখে যে কোনো জরুরি ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্যাদি আপলোড করবে। ফলে ব্যবহারকারীরা পরিস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবে। এসবের জন্য প্রয়োজন হবে পোস্টাল কোড যেটা সেবার অভ্যন্তরে সংরক্ষিত থাকবে। এরপর টুইটার সংস্থানের তালিকা তৈরি করবে।

অনুমান করা যাচ্ছে, সরকারের সহোযোগিতার উপর নির্ভর করবে এ সেবার সম্প্রসারণ। এছাড়া দেশগুলোর প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলোতে প্রথমে দৃষ্টি দেওয়া হবে। ফিচারটি টুইটার অ্যাকাউন্টের তালিকা তৈরি করে ক্রিয়াশীলভাবে জরুরি তথ্য পোষ্ট করবে। শহর, জেলা এমনকি আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় জাতীয় অ্যাকাউন্ট হালনাগাদ যা সংকলিত তালিকায় যুক্ত হবে। সেবাটি সরকারের জন্য উন্মুক্ত। আরো বলা হচ্ছে এটা জাপানের স্থানীয় মিডিয়া এবং অতি প্রয়োজনীয় সব প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টি আকর্ষন করবে। সুতরাং স্থানীয় লোকজন সেবা বিপর্যয় সম্পর্কে জানাতে পারবে এছাড়া গরম খবর হয়ে ছড়িয়ে পড়বে।

উল্লেখ্য, এ সেবা উদ্যোগ টুইটারেরই প্রথম নয়। চলতি বছরের সম্প্রতি জাপানে একই ধরনের সেবা চালু করে ফেসবুক। তারা এটিকে ‘ডাইজেস্টার মেসেজ বোর্ড’ নাম দিয়েছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময়ে যেটা ব্যবহারকারীদের সতর্ক নির্দেশনা দেয় যে তারা নিরাপদ আছে কিনা এবং জুরুরি  অবস্থা সম্পর্কে জানায়। ফলে বন্ধু এবং পরিবার ফোন কল অথবা অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য অপেক্ষা না করে ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখে প্রিয়জনের অবস্থা জানতে পারে।

গত বছরের ভার্জিনিয়াতে ভূমিকম্পের পর যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ হতে ঘোষণার পর সোশ্যাল মিডিয়া ফিচারগুলোর সাড়া আসে। সে সময় তারা লোকজনকে বন্ধু কিংবা পরিবার সম্পর্কে জানতে ভয়েস কলের চেয়ে টেক্স মেসেজ, ইমেইল, ফেসবুক অথবা টুইটার ব্যবহারের পরামর্শ করেছিল। সিকিউরিটি বিভাগের দাবি এ ধরনের ব্যবস্থা ফোন লাইন উন্মুক্ত রাখে যা বিপর্যয় কাজে নিয়োজিত কর্মীদের অনুকুলে থাকে।  

ক্যামাডার তথ্যানুসারে, জাপানের প্রাইম মিনিস্টারের লাইফলাইন কমিশনকে অংশীদার করেছে টুইটার এবং আঞ্চলিক সরকারকেও। তবে লাইফলাইন নামের নতুন ফিচারের ব্যবহার এখনও শুরু হয়নি। টুইটার আশাবাদী সেবাটি কার্যকরী হতে বেশি সময় লাগবেনা। এদিকে টুইটারের অগ্রগতিতে লাইফলাইনের যুক্ততাকে বড় পরিবর্তন বলে মনে করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৭ ঘন্টা, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।