ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ওবামা জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন: স্টিভ

সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১২
ওবামা জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন: স্টিভ

যুক্তরাষ্ট্র এখন নির্বাচনমুখর। রমনি-ওবামা বিতর্কও তুঙ্গে।

তবে এসব আলোচনার আড়ালেও জায়গা করে নিয়েছে স্টিভ জবস। না নতুন কোনো উদ্ভাবনা নয়। স্টিভ চলে গেছের তারই বর্ষপূর্তিতে আবারও খানিকটা সময়ের জন্য থমকে যাওয়া। স্টিভকে নিয়ে আরো একবার সামাজিক গণমাধ্যমে ঝড়। শুধু শোক নয়, স্টিভের জীবদ্দশার নানামুখী কর্মও স্থান পাচ্ছে এসব আলোচনায়।

এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে জীবিত থাকা অবস্থায় আসন্ন নির্বাচন সম্পর্কে ওবামাকে যৌক্তিকভাবেই সতর্ক করেছিলেন এ ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা। আর তা ওই সময়ে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়।

স্টিভের মৃত্যু দিবস আর মার্কিন নির্বাচন নিয়ে তাই উঠে আবারো আলোচনায় উঠে এসেছে সেই ভবিষ্যৎ বাণী। তবে পার্থক্য একটাই স্টিভ আজ নেই। ওবামা অবশ্য স্টিভের এ বক্তব্যকে আমলে নিয়েছিলেন। কারণ স্টিভের ভাবনাকে মোটেও খাটো করে দেখার মতো কোনো সুযোগ ছিল না।

স্টিভের হাত ধরেই অন্তত একযুগ আগেই মানুষ টাচস্ক্রিনের বাস্তব ভুবনে প্রবেশ করেছে। আজকের এগিয়ে যাওয়া বিশ্ব অনেকটাই পিছিয়ে থাকত, যদি না স্টিভের ভাবনা ভবিষ্যতমুখি আর প্রমাণযোগ্য হতো।

প্রসঙ্গত, মার্কিন ব্যবসা প্রশাসনে বারাক ওবামা ক্রমেই অজনপ্রিয় হয়ে উঠছেন। এটা অনেকের কাছেই হোঁচট খাওয়ার মতো তথ্য হতে পারে। কিন্তু এমনটা হবে তা ২০১০ সালেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন টেকগুরু এবং অ্যাপলস্রষ্টা স্টিভ জবস।

মানুষের ভবিষ্যৎ চাহিদাকে অনেক আগে থেকেই অনুমান করার দৈব ক্ষমতা ছিল স্টিভ জবসের। এটা উদ্ভাবক হিসেবে বহুবারই প্রমাণ করেছেন স্টিভ। একজন উদ্ভাবকের যতগুলো গুণাবলী থাকা প্রয়োজন তাঁর প্রায় সবগুলোই ছিল স্টিভের আচরণে।

ওবামার বা পাশে কালো পোশাকে নৈশ্যভোজ করছেন স্টিভ জবস
এ ক্ষমতার অমোচনীয় নজির পাওয়া যায় ২০১০ সালে। বারাক ওবামার আমন্ত্রণে এক বিশেষ নৈশভোগে অংশ নিয়েছিলেন স্টিভ জবস। বিশ্বপ্রযুক্তি অঙ্গনের শীর্ষ প্রায় সব উদ্ভাবকই এ আসরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাওয়াত পান। তবে স্টিভ ছিলেন এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল।

বলতে গেলে ওই নৈশ্য আসরের মধ্যমণি। আলাপচারিতা এক পর্যায়ে স্টিভ বারাক ওবামার প্রশাসনের ব্যবসানীতিকে খানিকটা প্রশ্নবিদ্ধ করেন। স্টিভ বলেন, এমন ধারায় বিনিয়োগ আর ব্যবসা বৈপিরত্য চললে অচিরেই যুক্তরাষ্ট্র বড় ধরনের আর্থিক সংকটে পড়বে। এমনকি বিশ্বব্যবসায় অর্থনৈতিক মন্দারও আর্বিভাব হতে পারে।

সবচেয়ে আলোচিত বক্তব্যটি হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বারাক ওবামা ক্রমেই অজনপ্রিয় হয়ে উঠছেন তা স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছিলেন স্টিভ। আর এটাই হবে তাঁর ক্ষমতা হারানোর মূল কারণ। অর্থাৎ দ্বিতীয়বারের মতো বারাক ওবামা আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারবেন না।

এরই মধ্যে স্টিভের জীবনী নিয়ে বই লিখতে শুরু করেছেন বিশিষ্ট লেখক ওয়ালটার আইজ্যাকসন। তিনি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ স্টিভের সাক্ষাৎকার নিয়েও কাজ করছেন। এসবের মধ্যে স্টিভের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক দর্শনও সর্বোচ্চ প্রাধান্য পাচ্ছে।

স্টিভ আজ নেই। তবে মার্কিন নির্বাচন আসন্ন। আর এরই মধ্যে বারাক ওবামার প্রশাসন নানাবিধ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। স্টিভের মৃত্যু দিবসে মার্কিন প্রশাসন নিয়ে স্টিভের ভবিষ্যৎবাণী তাই আরো একবার সরব হয়ে উঠেছে। আসন্ন নির্বাচনে স্টিভের বক্তব্য সঠিক হলে তাঁর রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি পাবে নতুন মাত্রা। তাই সময়ই বলে দেবে স্টিভের এ ভবিষ্যৎবাণী কতটা অপ্রতিরোধ্য, কতটাই বা সময়ের সঙ্গে গ্রহণযোগ্য।

বাংলাদেশ সময় ১৮৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।