ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ইএটিএল অ্যাপস্টোরের যাত্রা শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ও আইসিটি রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১২
ইএটিএল অ্যাপস্টোরের যাত্রা শুরু

ঢাকা: বাংলাদেশে প্রথমবারের মত যাত্রা শুরু করেছে ইথিকস অ্যাডভান্সড টেকনোলজি লিমিটেড (ইএটিএল) অ্যাপস্টোর।

শনিবার রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে প্রধান অতিথি হিসেবে নতুন এই অ্যাপস্টোরের উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ।



এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা প্রফেসর ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক নিলুফার আহমেদ, অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন প্রকল্পের পরিচালক ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক কবির বিন আনোয়ার প্রমূখ।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ইএটিএল এর প্রতিভাদীপ্ত কাজ বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করবে। অ্যাপসস্টোরের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সফলতার দিকে এগিয়ে যেতে হবে। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ইএটিএল এর এই উদ্যোগ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের তার বক্তব্যে ডায়াবেটিস ও এইডসসহ জটিল রোগের সেবায় এ উদ্ভাবন বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, ১৯৯৬ সালে প্রথম অ্যাপল মার্কেটে আনে অ্যাপসস্টোর, এর পরে আসে গুগল সার্চ ইঞ্জিন এরপর অন্যরা। সবগুলোই শুরুতে স্বল্প পরিসরে আসলেও এখন বিশ্বখ্যাত। আমাদের ইএটিএল অ্যাপসস্টোরও এক সময়ে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।

তিনি বলেন, মার্ক জুকারবার্গ তাদের কয়েকজন বন্ধু মিলে শুধামাত্র ছবি শেয়ার করার জন্য ফেসবুক প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু আজ বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করেছে ফেসবুক।  

নামকরণের (ইথিকস অ্যাডভান্সড টেকনোলজি লি) স্বার্থকথা বজার রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আশা করব তারা তাদের নামের প্রতি সুবিচার করবে।

এর আগে ইএটিএল’র প্রধান নির্বাহী ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে অ্যাপসস্টোরের বিস্তারিত দিক উপস্থাপন করেন।


প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএ মুবিন খান জানান,  অ্যাপল, গুগল, ব্লাকবেরির মত বিশ্বের অনেক নামিদামি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অ্যাপসস্টোর ফ্লাটফ্রম সুবিধা রয়েছে। কিন্তু বাংলায় কোন অ্যাপসস্টোর নেই। দেশের প্রায় ৯৭ ভাগ মোবাইল ব্যবহারকারির সংখ্যার সুবিধা নিশ্চিত করতে ইএটিএল’র এই কার্যক্রম তরুণ প্রজন্মের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ফল।
 
নতুন এই সেবার মাধ্যমে দেশের মোবাইল ব্যবহারকারিরা সহজেই স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, গেমস, ই-কমার্স, রূপচর্চাসহ ১২ ধরনের প্রয়োজনীয় সেবা পাবেন।

ইএটিএল এর অ্যাপসের www.eatlapps.com ওয়েবসাইট থেকে যে কেউ আপলোড ও ডাউনলোড করতে পারবে। যার বেশিরভাগেই থাকছে বিনামূল্যে।

অনুষ্ঠানে ইএটিএল অ্যাপস প্রতিযোগিতার আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এই প্রতিযোগিতায় দেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণের জন্য ৩০ জানুয়ারির মধ্যে তাদের আইডিয়া জমা দিতে পারবে।

এতে বিজয়ীর জন্য থাকছে রয়্যালিটি, ইএটিএল’এ চাকরিসহ লোভনীয় পুরস্কার। প্রথম বিজয়ীকে দেওয়া হবে ৫ লাখ টাকা, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিজয়ীর জন্য থাকছে যথাক্রমে ২ ও ১ লাখ টাকা নগদ সম্মানী। সেই সঙ্গে শীর্ষ ১০ এর জন্য থাকছে স্মার্ট ফোন ও চাকরির সুযোগ।

বাংলাদেশ সময়:  ১৮১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১২
ইএস/এসজেডএম/ সম্পাদনা: সোহেলুর রহমান, নিউজরুম এডিটর; নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।