আইফোনের নতুন সংস্করণে সফটওয়্যারজনিত ত্রুটি থাকায় আবারও অভিযুক্ত হলো অ্যাপল। সম্প্রতি অ্যাপলের অবমুক্ত প্রায় সব পণ্যই অভিযোগ ঘরে তুলেছে।
আইফোন ভোক্তাদের অভিযোগ, আইফোন থ্রিজিতে আইওএস৪ অপারেটিং সিস্টেম যুক্ত নতুন আইফোন তার জনপ্রিয় কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। সদ্য প্রকাশিত সংস্করণে প্রত্যাশিত সুবিধাগুলোর অপূর্ণতা আইফোন ভোক্তাদের হতাশ করেছে।
অভিযোগকারী বিয়ানকা জানান, অ্যাপল প্রচারিত বিজ্ঞাপন এবং কার্যক্রমে উৎসাহিত হয়ে আইওএস৪ সংস্করণ ডাউনলোড করে বিপাকে পড়ছে। এজন্য তিনি অ্যাপলের বিরুদ্ধে আইনি মামলা করেছেন।
এতে স্পস্টই প্রতীয়মান হয়, আইওএস ৪ সংস্করণে যথেষ্ট পরিমাণ কারিগরি ত্রুটি আছে। মূল অভিযোগ, নতুন আইফোন থ্রিজি ব্যবহারের অনুপযোগী এবং প্রয়োজনের তুলনায় অপেক্ষাকৃত ধীরগতিসম্পন্ন। ফলে অ্যাপল ভোক্তারা এ সংস্করণে ব্যবহারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।
উল্লেখ্য, এ বছরের জুনে অ্যাপল আইওএস ৪.০ সংস্করণ অবমুক্ত করে। এর বাড়তি কিছু মাল্টিটাস্ক ফিচার সমস্যার কারণে ব্যবহারকারীরা হতাশ হয়েছেন। অর্থাৎ আইফোন থ্রিজিতে ফিচারগুলো ছিল ব্যবহার অনুপযোগী। বিয়ানকার আইনজীবী মামালার বিবরণীতে জানিয়েছেন, সদ্য উন্মোচিত আইফোনে আইওএস৪ সংস্করণের গুণগতমান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ সংস্করণ কার্যত ব্যবহারযোগ্য নয়।
অভিযোগের ব্যাখ্যায় বিয়ানকা জানান, আইফোন থ্রিজিতে আইওএস৪ ও আইওএস৩ এক্স সমর্থণযোগ্য নয়। অ্যাপলের লক্ষ্য ছিল নিজ উদ্দেশ্যসাধনে ব্যবহারকারীদের আইফোন থ্রিজিএস এবং আইফোন৪ ক্রয়ে উৎসাহিত করা। বিয়ানকা দাবি করেন, তার ব্যবহৃত থ্রিজি আইফোনের ৯৯ ভাগ নির্ভরযোগ্য ফিচারের মাত্র ২০ ভাগ ব্যবহারযোগ্য ছিল।
এ কারণে আইওএস৩ থেকে প্রথম সারির ব্যবহারকারীরা পুরোপুরিভাবেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। অনেকেই এ পণ্যমান নিয়ে চূড়ান্ত অসন্তুষ্টিও প্রকাশ করছেন। উল্লেখ্য, এ মাসের শেষভাগে সেবামান নিশ্চিত করে আইওএস ৪.২ সংস্করণ অবমুক্ত করবে বলে অ্যাপল সূত্র জানিয়েছে। সঙ্গে আইফোন থ্রিজিতেও অভিযুক্ত সংস্করণটি হালনাগাদ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৭২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১০