ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বাংলানিউজকে জিয়া মনজুর

দেশে ইন্টেল কার্যক্রম সক্রিয় হচ্ছে

সাব্বিন হাসান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১২
দেশে ইন্টেল কার্যক্রম সক্রিয় হচ্ছে

ইন্টারনেটের গতি, অবকাঠামোগত মানোন্নয়ন এবং দেশব্যাপী ইন্টারনেটের সুবিধা নিশ্চিত করলে না পারলে বাংলাদেশে আইসিটি খাতে নির্ধারিত লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে পড়বে। বাংলানিউজকে একান্ত সাক্ষাৎকারে এমন কথাই জানালেন বাংলাদেশে ইন্টেলের কান্ট্রি বিজনেস ম্যানেজার জিয়া মনজুর।



বাংলাদেশে ইন্টেল কাজ করছে ৮ বছর পেরিয়ে গেছে। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রকল্পে ইন্টেল দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছে। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় অন্যতম আইসিটি শক্তি হয়ে উঠছে। তবে আন্তর্জাতিক মানের দক্ষতা অর্জনে আইসিটি পেশাজীবীদের এখনও কিছু সুনির্দিষ্ট ঘাটতি আছে।

এসব ঘাটতি পূরণে বেসরকারি উদ্যোগের সঙ্গে সরকারকেও সম্পৃক্ত হতে হবে। আইসিটির মাধ্যমে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, কৃষিতথ্য, জীবনমান উন্নয়ন তথ্য এবং গণযোগাযোগের সব ধরনের তথ্যের সুফল দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দিতে হবে। তবেই দেশ এগিয়ে যাবে। রাজস্ব ছাড়াও সাধারণ মানুষের আর্থিক আয় বাড়াতে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তবেই আইসিটি খাতের প্রকৃত সুফল অর্জন করা সম্ভব।

এ ছাড়াও এশিয়া প্যাসিফিকে ২০১২ সাল ইন্টেলের জন্য বেশ কিছু সাফল্য বয়ে এনেছে। এ অঞ্চলে আইসিটির উদ্ভাবন পার্সোনাল কম্পিউটিংকে বর্ণিল করে তুলেছে। কথাগুলো বললেন ইন্টেল বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়া মনজুর।

আর এ উদ্ভাবনের পেছনে প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে ইন্টেল কাজ করে যাচ্ছে। কম্পিউটিং প্রযুক্তি তৈরি ও প্রসারিত করার মাধ্যমে জীবনকে সহজ ও সমৃদ্ধ করাই ইন্টেলের লক্ষ্য।

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রসেসর বিশ্ববাজারে ছাড়ার মাধ্যমে এ বছরে ইন্টেল প্রযুক্তি অঙ্গনে অনেকটাই এগিয়ে এসেছে। স্মার্টকার থেকে শুরু করে ট্যাব, আলট্রাবুক এবং সার্ভারে কম্পিউটিং প্রযুক্তি ব্যবহার ও তার প্রতিফলনের রূপ পাল্টে গেছে।

এ ছাড়া ইন্টেল এশিয়া অঞ্চলকে গ্লোবাল ‘পাওয়ার হাউজ’ তৈরি করতে এ অঞ্চলের শিক্ষাব্যবস্থায় সক্রিয় দায়িত্ব পালন করছে। একুশ শতকের দক্ষতা ব্যবহার ও এন্টারপ্রেনার অর্থাৎ উদ্যোক্তা হিসেবে বিনিয়োগ করতেও উৎসাহ দিচ্ছে ইন্টেল।

যুগান্তকারী প্রযুক্তির সমন্বয়ে ইন্টেল কম্পিউটার ব্যবহারকে আরও স্মার্ট, দ্রুত নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিচ্ছে। এ বছরেই উন্মুক্ত করা হয়েছে তৃতীয় প্রজন্মে ইন্টেল কোরপ্রসেসর। এখানে ব্যবহার করা হয়েছে ‘২২এনএম ৩-ডি’ ট্রাইগেট ট্রানজিস্টর।

ফলে আলট্রবুক ছাড়াও অন্য সব পার্সোনাল কম্পিউটার সিস্টেম নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে সমন্বয় করেছে। এটি ফাইল ট্রান্সফার, স্টার্টআপ টাইম দ্রুত করার সঙ্গে নিরাপত্তাও নিশ্চিত করে।

বাংলাদেশে ইন্টেলের কান্ট্রি বিজনেস ম্যানেজার জিয়া মনজুর বলেন, গ্রাহকের চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে কম্পিউটিং প্রযুক্তিকে আরও দ্রুত ও সহজ করতে চতুর্থ প্রজন্মের ইন্টেল কোরপ্রসেসর তৈরির প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে।

আগামী বছরেই এটি গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রত্যাশা করছে ইন্টেল। প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান এবং নির্মাতাদের এশিয়ার গ্রাহকের চাহিদা ও প্রত্যাশানুযায়ী পণ্য পৌঁছে দেওয়া আগের থেকে অনেক বেশি জরুরি।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে স্ক্রিন সাইজ, পাওয়ার প্রসেসিং এবং ওজনের ক্ষেত্রে ধরনের পরিবর্তন আসবে বলে বাংলানিউজকে জানান বাংলাদেশে ইন্টেলের কান্ট্রি বিজনেস ম্যানেজার জিয়া মনজুর।

বাংলাদেশ সময় ২১২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।