ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

আগামী বছরেই ইনফরমেশন হাইওয়ে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৩
আগামী বছরেই ইনফরমেশন হাইওয়ে

গাজীপুর: আগামী বছরের প্রথম দিকে এডিপির সহায়তায় সাউথ এশিয়া সাব রিজিওন্যাল ইকোনোমিক কো-অপারেশন (সাসেক) প্রকল্পের আওতায় ইনফরমেশন হাইওয়ে স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

শনিবার বিকেল ৩টায় গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় স্থাপিত হাইটেক পার্কের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা ফারুক মুহম্মদ এমপি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।



মন্ত্রী বলেন, আগামী বছরের প্রথম দিকে হাইটেক কানেক্টিভিটির আওতায় আসছে বাংলাদেশ। হাইটেক ইন্টারন্যাশনাল হাইওয়ে স্থাপনের পর ইন্টারনেটে আপলোডিং, ডাউনলোডিং এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের গতি এবং কমমূল্যে ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যাবে।

এ প্রকল্পের প্রসঙ্গে আইসিটি মন্ত্রী বলেন, ২৩২ একর জায়গার ওপর হাইটেক পার্কটি প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। এখানে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান নিরবিচ্ছিন্ন গবেষণা ও সফটওয়্যার উন্নয়ন কাজ করবে।

এ জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে হাইটেক পার্কের ভেতর প্লট বরাদ্দ দেওয়া হবে। তারা নিজেদের খরচে ভবন নির্মাণ ও আসবাবপত্র সংযোজনের কাজ সম্পন্ন করবে। হাইটেক পার্কের কাজের জন্য উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা অপরিহার্য।

এসব সুবিধার ওপর ভিত্তি করেই হাইটকে পার্কটি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করবে। আগামী ২০১৭ সালের মধ্যে এ পার্কটি তার পূর্ণাঙ্গ যাত্রা শুরু করতে পারবে। তবে আগামী বছরের প্রথম দিকে এডিপির সহায়তায় সাউথ এশিয়া সাব রিজিওন্যাল ইকোনোমিক কো অপারেশন (সাসেক) প্রকল্পের আওতায় ইনফরমেশন হাইওয়ে স্থাপন করা হবে।

অপটিক্যাল ফাইবারের সাহায্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং আসাম থেকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা, রংপুর হয়ে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে খুলনা অতিক্রম করে ভারত, নেপাল ও ভুটান পৌঁছাবে।

আইসিটি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব শ্যামা প্রসাদ বেপারী বলেন, দেশের ভূ-স্তরের ভেতর দিয়ে অপটিক্যাল ফাইবার লাইন স্থাপনের ফলে ব্রডব্যান্ড ও ওয়াইফাই সুবিধার চেয়েও উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাবে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারকারীরা।

এক্ষেত্রে রিম বা সিম ব্যবহারের কোনো প্রয়োজন হবে না। পুরো দেশ একটি ব্রডব্যান্ড আওতাভূক্ত এলাকায় পরিণত হবে। এ প্রযুক্তি চালু হলে বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে।

এ সময় পার্কে উপস্থিত ছিলেন হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, সহকারী পরিচালক মো: মাহাফুজুল কবির, কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুর রহমান, কালিয়াকৈর পৌর মেয়র মজিবুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘন্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৩
আরএ/এসএইচ/জেসিকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।