ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

৭ বিভাগীয় শহরে চালু হচ্ছে সুইচিং, একসেস নেটওয়ার্ক

মফিজুল সাদিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৪
৭ বিভাগীয় শহরে চালু হচ্ছে সুইচিং, একসেস নেটওয়ার্ক

ঢাকা: দেশের তথ্য-প্রযুক্তির অবাধ সম্প্রসারে এগিয়ে এসেছে বন্ধুরাষ্ট্র চীন। তাদের সহায়তায় দেশের ৭টি বিভাগীয় শহরে চালু হচ্ছে সুইচিং ও একসেস নেটওয়ার্ক।

এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ জেলা শহরে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পূর্ণ ট্রান্সমিশন, আইপি নেটওয়ার্ক, অপারেটিং সাপোর্ট সিস্টেম (ওএসএস) এবং আইপি ব্যাকবোন তৈরির কাজ চলছে। দেশব্যাপী ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক সুবিধা সম্প্রসারণে এ পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে সরকার।

পরিকল্পনা কমিশনের দেওয়া তথ্য মতে, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য এনজিএনভিত্তিক টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করা হবে।
ডাক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড(বিটিসিএল)।

প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮২৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি খাত থেকে আসবে ৪০৩ কোটি টাকা এবং চীনা সহায়তা থেকে ১ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল জানুয়ারি ২০১৪ থেকে জুন ২০১৭ পযর্ন্ত প্রস্তাব করা হয়েছে।

এ প্রকল্পে চীনা এক্সিম ব্যাংক গর্ভমেন্টাল কনসেশনাল লোন দিতে সম্মত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে বাংলাদেশ সরকার এবং চীনা কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি বাণিজ্যিক ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

প্রকল্পটির প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম প্রধান মো. ওসমান গনি তালুকদার এ বিষয়ে বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে বদ্ধপরিকর। এই লক্ষ্যে অর্জন করতে হলে দেশে উচ্চ ক্ষমতা সম্পূর্ণ আধুনিক তথ্য প্রযুক্তিগত অবকাঠামো নির্মাণ করা জরুরি।

তিনি জানান, টেলিকমিউনিকেশন্স নেটওয়ার্ক স্থাপনের মাধ্যমে দেশের আপামর জনসাধারণের কল্যাণের জন্য ই-গর্ভনেন্স, ই-কমার্স, ই-সাইন্স, ই-হেল্থ, ই-কৃষি এবং কাযর্ক্রমগুলোর সুবিধা পৌঁছানো সম্ভব হবে। এই লক্ষ্যে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পের দ্বারা দেশের সাধারণ মানুষ স্বল্প খরচায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবে। ’

ওসমান গনি তালুকদার আরো জানান, প্রকল্পটির মাধ্যমে সারা দেশে ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে যাবে এতে করে দেশের মানব সম্পদ উন্নয়ন, অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি এবং সর্বোপরি দারিদ্র বিমোচন কৌশলের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। প্রকল্পটির মাধ্যমে দেশে ডিজিটাল সেতু বন্ধনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ’

তিনি বলেন, প্রকল্পটিতে চীনা এক্সিম ব্যাংক প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা প্রাপ্তির বিষয়টি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের(ইআরডি) মাধ্যমে নিশ্চয়তা পাওয়ার পর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বিটিসিএল কর্তৃক প্রস্তাবিত আলোচ্য প্রকল্পটি বিবেচনার জন্য পিইসি সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে। ’
 
প্রকল্পটির অন্যান্য কাযর্ক্রম আইএমএস প্লাটফর্ম স্থাপন, ৭ হাজার কিলোমিটার টেলিফোন লাইন তৈরি, অপটিক্যাল ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক স্থাপন, কপার নেটওয়ার্কের জন্য ওএসপি ওয়ার্ক তৈরি, বিটিসিএল এর আইপি নেটওয়ার্ক স্থাপন, নেটওয়ার্ক অপারেশন এবং রক্ষাণাবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন এবং প্রশিক্ষণ ও কারিগরি জ্ঞান প্রদান করা।
 
সকল নেটওয়ার্কের কাযর্ক্রম ও ত্রুটি নিরুপণ ও বিমোচনের জন্য ঢাকায় একটি শক্তিশালি অপারেটিং সাপোর্ট সিস্টেম(ওএসএস) সংস্থান রাখা হয়েছে। ফলে সমগ্র দেশব্যাপী প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০০১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।