ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

‘ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান ল্যাপটপ’ কর্মসূচি নিচ্ছে সরকার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৪
‘ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান ল্যাপটপ’ কর্মসূচি নিচ্ছে সরকার ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: মার্চ মাস থেকে একজন শিক্ষার্থী একটি ল্যাপটপ (ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান ল্যাপটপ) কর্মসূচি চালুর কথা ভাবছে সরকার। আর ইন্টারনেট সেবা সবার কাছে পৌঁছে দিতে পর্যায়ক্রমে দেশকে এক লাখ ওয়াইফাই জোনভুক্ত করা হবে।



মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ভবন মিলনায়তনে ‘তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি, শিক্ষা এবং কর্মসংস্থান’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপকালে ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মার্চ মাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান ল্যাপটপ’ কর্মসূচি শুরুর বিষয়ে আলোচনা চলছে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের জন্য কম খরচে মোবাইল ডেটা সার্ভিস দিতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং টেলিটকের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজিত মতবিনিময় সভায় শিক্ষার্থীরা সাবমেরিন কেবলের অব্যবহৃত ব্যান্ডউইথ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় বিনামূল্যে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানালে পলক বলেন, খুব তাড়াতাড়ি ১০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক স্থাপন করার বিষয়ে পরিকল্পনা রয়েছে। তরুণ প্রজন্মের মতামতের ভিত্তিতেই এই প্রতিষ্ঠান গুলো নির্ধারণ করা হবে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশের এক লাখ পয়েন্টকে ওয়াইফাইয়ের আওতায় আনা হবে। এরইমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বিনামূল্যে ওয়াইফাই সুবিধা দেওয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ১ জিপিবিএস গতিতে ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করা হবে।
 
তথ্য-প্রযুক্তিকে আরো এগিয়ে নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে ডিজিটাল স্বাক্ষর ব্যবহার করার জন্য বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল লাইসেন্স দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক দফতরে কাগজ তুলে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি চীনের সঙ্গে আলাপ চলছে, খুব তাড়াতাড়ি ১ পেটাবাইট সার্ভার স্থাপন করে একটি সেন্ট্রাল ডাটা সেন্টার স্থাপনের। যেখানে সারাদেশের সর্বশেষ কর্মকাণ্ড একত্রে পাওয়া যাবে।

তিনি আরো বলেন, ‘ভিশন ২০২১’ বাস্তবায়নে এরইমধ্যে তরুণ প্রজন্ম আউট সোর্সিং-এর মাধ্যমে দেশীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। বর্তমান সরকার চেষ্টা করছে আগামী চার বছরের মধ্যে আউট সোর্সিং-এর পরিমাণ বাড়িয়ে দুইশ মিলিয়নে নিয়ে যাওয়ার।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মুস্তাফিজুর রহমান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সিআরআই-এর চিফ অ্যানালিস্ট সাব্বির বিন সামস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলী (সিএসই) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মামুন-অর-রিশদ, ফিউচার সলিউশান ফর বিজনেস এর প্রতিনিধি সাদিয়া আহসান সেঁজুতি ও আব্দুল আলিম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।