ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর দেওয়া হবে

মফিজুল সাদিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৪
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর দেওয়া হবে ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা: যেসব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ  ও মাদ্রাসায় বিদ্যুৎ রয়েছে সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেট সংযোগসহ ল্যাপট্যাপ ও একটি করে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা।

‘আইসিটি’র মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার প্রচলন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

  তিনি আরও জানান, ২০১১ সালের জানুয়ারিতে  এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। প্রকল্পের কাজ চলতি বছরের জুনে শেষ হবে। এতে করে ইন্টারনেটভিত্তিক  শিক্ষার নবদিগন্তের সূচনা হবে।

প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০৫ কোটি ৬৫ লাখ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর।

প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, মূল প্রকল্পের দলিলে প্রতি ব্যাচে ৫০ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ প্রদানের প্রভিশন রয়েছে। কিন্তু প্রশিক্ষণ ভেন্যু ও ল্যাবের বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে প্রতি ব্যাচে ৩০-৩৫ জন শিক্ষককে ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, মোট ২০ হাজার ৫০০ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ প্রদানের প্রভিশন রয়েছে। কিন্তু প্রশিক্ষণের চাহিদা রয়েছে ২৩ হাজার ৩৩১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের।

প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে আরিএডিপিপি’র  প্রতিষ্ঠান প্রধান ২০ হাজার ৫০০ জন এবং মাঠ পর্যায়ে মনিটারিং সংশ্লিষ্ট  ১ হাজার ৮০০ জন কর্মকর্তার জন্য  প্রশিক্ষণের  প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়াও ডিপিপি প্রাক্কলনের জন্য অতিরিক্ত ২ হাজার ৮৩১ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ প্রদানের  চাহিদা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

বৈঠকে আরও জানানো হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ২০ হাজার ৫০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করা। কিন্তু ২৩ হাজার ৩৩১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকায় আরও ২ হাজার ৮৪১টি প্রতিষ্ঠানে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

ইন্টারনেটভিত্তিক শিক্ষণ চালু করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উপকরণ ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করাও প্রকল্পটির উদ্দেশ্য।

প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ করার লক্ষ্যে প্রথম সংশোধনীর ওপর বিভাগীয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (ডিপিইসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা সচিব ড. মোহাম্মদ সাদিক।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।