ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ইন্টারনেটের প্রয়োজনীয় সামগ্রী শুল্কমুক্ত হওয়া উচিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০২ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৪
ইন্টারনেটের প্রয়োজনীয় সামগ্রী শুল্কমুক্ত হওয়া উচিত ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম/ ফাইল ফটো

ঢাকা: দেশে ইন্টারনেটের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর ওপর আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা উচিত বলে মনে করেন তথ্য ও যোগাযোগমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

শনিবার সকাল ১১টায় রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) আয়োজিত ‘বাঁক বদলের বাজেট’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।



ইনু বলেন, বৈষম্য কমাতে ইন্টারনেট সংবিধানে মানবাধিকারের আওতাধীন হওয়া উচিত। ইন্টারনেটের প্রয়োজনীয় সামগ্রী শুল্কমুক্ত হওয়া উচিত। এতে করে আয় বাড়বে, যার মাধ্যমে অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।

তিনি বলেন, বিশ্বায়নের যুগে তথ্যপ্রযুক্তিতে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। মোবাইল ফোনসহ তথ্যপ্রযুক্তির এ জাতীয় পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানো উচিত।

খালেদা জিয়ার সরকার বাংলাদেশের অর্থনীতিকে মুক্তবাজার অর্থনীতির কাছে ইজারা দিয়েছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত ছয় মাসে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশে  যে অরাজকতা চলেছে, তাতে দেশের প্রবৃদ্ধি কমেছে। এতে তাকে ‘দেশপ্রেমিক নেত্রী’ বলা যাবে না।  

তিনি বলেন, জঙ্গিবাদের দোসর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে।   ফের শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় এসে দিক বদলের যাত্রা শুরু হয়। সরকারকে দলবাজি, গুম, খুনের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখানো উচিত।

চলতি সরকারের এই প্রথম বাজেটটি বাঁক বদলের বাজেট বলে উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, এই বাজেটে খাস জমি জলাভূমি ও জঙ্গলের ওপর ভূমিহীনদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বিক্রি না করার শর্তে এসব জমি ভূমিহীনদের বরাদ্দ দিতে হবে।

শ্রমিক নেত্রী শিরীন আক্তার বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে এক হয়ে সংবিধান নস্যাৎ করতে খালেদা জিয়া ষড়যন্ত্র করছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠেছে, তখন এই বাজেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, এদিকে, জামায়াতে ইসলামীর বিচার নিয়ে আইনমন্ত্রীর বক্তব্য দেশের মানুষের মনে প্রশ্ন তুলেছে।

বাজেট বিষয়ে শিরীন আক্তার বলেন, বাজেটে তিনটি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তা হলো- কৃষি, শিল্প ও সেবাখাত। দেশে সুশাসনের জন্য কোথায় কোথায় কীভাবে বাজেট করা দরকার, তা চিন্তা করা উচিত।

তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী হতে হবে। যুব সমাজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, সে বিষয়ে বাজেটে চিন্তা করতে হবে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- জাসদ নেতা মীর হোসেন আক্তার, ফজলুর রহমান বাবু, নাদের চৌধুরী, জিয়াউল হক মুক্তাসহ অন্যান্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা ১৩৪৮, মে ৩১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।