ঢাকা: বেইজিংভিত্তিক চীনের ইলেকট্রনিক্স পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জিওমির পণ্য ব্যবহারের বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে ভারতীয় বিমান বাহিনী (আইএএফ)।
এজন্য আইএএফ ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একটি ‘প্রজ্ঞাপণ’ বিতরণ করা হয়েছে।
জিওমির হ্যান্ডসেটের বিষয়ে চলতি বছরের জুলাইয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি নিরাপত্তা সংস্থা। জিওমির হ্যান্ডসেটে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য বিশেষ ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় বলে ওই রির্পোটে বলা হয়।
তবে নিজেদের হ্যান্ডসেটে গুপ্তচরবৃত্তির মতো কোনো কিছু নেই বলে সম্প্রতি গ্রাহকদের আশ্বস্ত করে জিওমি। তারপরও ‘গুঞ্জন’ ওঠায় নিরাপত্তার স্বার্থে সম্প্রতি বেশ কিছু স্মার্টফোন ডাটা চীন থেকে সরিয়ে নেয় প্রতিষ্ঠানটি।
নিরাপত্তা সংস্থাটির রির্পোটের বরাত দিয়ে আইএএফ জানায়, জিওমির তৈরি স্মার্টফোন ও নোটবুকে এমন সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়- যা ব্যবহারকারীর সংরক্ষিত ব্যক্তিগত তথ্য বেইজিংয়ে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির সার্ভারে প্রেরণ করা হয়। আগে থেকে না থাকলেও জিওমি শিগগিরই বাজারে ল্যাপটপ ছাড়বে।
হুগো বারা নামে ব্রাজিলিয়ান কম্পিউটার বিজ্ঞানী গুগল প্লাসে এক ব্লগ পোস্টে লিখেন, চীনা ব্যবহারকারী ছাড়া যারা জিওমির পণ্য ব্যবহার করেন তাদের তথ্য যুক্তরাষ্ট্র এবং সিঙ্গাপুরে স্থাপিত অ্যামাজন সার্ভারে যুক্ত হতে থাকে।
তবে, জিওমি তার তথ্য চীন থেকে অন্য কোথাও প্রেরণ করে কিনা সে বিষয়ে আইএফ’র প্রজ্ঞাপনে কিছু বলা হয়নি।
জিওমির হ্যান্ডসেট ক্রয়ের মাধ্যমে এ বিষয়ে নজর রাখার জন্য আইএএফ সদস্যদের অবগত করা হয়েছে।
মোবাইল প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষ ধরনের সফটওয়্যারের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য তাদের নিজস্ব সার্ভারে সরবরাহ করে, এমন কথা শোনা গেলেও প্রথমবারের মতো নির্দিষ্ট করে উঠে আসলো জিওমির নাম।
সম্প্রতি রিদমি-১এস নামে ভারতের বাজারে একটি হ্যান্ডসেট ছাড়ে জিওমি। হ্যান্ডসেটটির কাটতির কারণে ক্রেতাদের চাহিদামতো সরবরাহে বেশ বেগ পেতে হয় প্রতিষ্ঠানটিকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৪